– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –
  • সোমবার ০২ অক্টোবর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৭ ১৪৩০

  • || ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রফতানি আয়ে সুবাতাস: সেপ্টেম্বরে এলো ৪.৩১ বিলিয়ন ডলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ সুন্দরগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে স্কুলছাত্রীর অনশন পীরগাছায় বীর নিবাস পরিদর্শনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব পীরগাছায় জলাবদ্ধতা নিরসনের ৫ কিমি ড্রেনেজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

ইউক্রেনে এফ-সিক্সটিন যুদ্ধবিমান পাঠানোর অনুমতি দিলো যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২৩  

 
ন্যাটোভুক্ত দুই দেশ ডেনমার্ক এবং নেদারল্যান্ডস থেকে ইউক্রেনে এফ-সিক্সটিন যুদ্ধবিমান পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন প্রশাসন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের এক চিঠিতে ড্যানিশ এবং ডাচ প্রশাসনকে অনুমোদনের বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে বলা হয়, ইউক্রেনীয় পাইলটকে প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পরপরই পাঠানো যাবে এই যুদ্ধবিমান।

এর আগে, মার্কিন প্রশাসনের অনুমোদনের আহ্বান জানিয়েছিল ইউরোপের দুই দেশ।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এফ-সিক্সটিন ফাইটার জেট পেলেই যুদ্ধের গতিপথ পাল্টাতে পারবে না ইউক্রেনীয় সেনারা। এমনকি ফাইটার জেট পরিচালনায় দক্ষ হয়ে উঠতে পর্যাপ্ত সময় প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে এই বিমান কেবল ইউক্রেনীয় সেনাদের মনোবল বাড়াবে।

বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে সক্রিয় ফাইটার জেট এফ-সিক্সটিন। এক ইঞ্জিন বিশিষ্ট এই বিমান দিয়ে স্থল-আকাশ উভয়পথেই হামলা চালানো যায়।

১৯৭০ সালে প্রথম আকাশে উড়ে এফ-সিক্সটিন। মার্কিন বিমানবাহিনীর মতে, স্বল্প ব্যায়ের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র ব্যবস্থা এটি। কয়েক দশক ধরে হাজার হাজার এফ-সিক্সটিন তৈরি এবং বিশ্বজুড়ে তা রপ্তানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

রুশ বাহিনীর হামলা প্রতিহতে পশ্চিমা মিত্রদের কাছে দীর্ঘদিন ধরেই এফ-সিক্সটিন ফাইটার জেট চেয়ে আসছে ইউক্রেন। কিয়েভের পাইলটদের এফ-সিক্সটিন ফাইটার জেট পরিচালনায় প্রশিক্ষণও দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রশিক্ষণ শেষে কিয়েভে যাবে যুদ্ধবিমানের প্রথম চালান।

ইউক্রেনকে মূলত সোভিয়েত যুগের ফাইটার জেট দেয়ার পরিকল্পনা চলছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ফাইটার জেট পেলেই ইউক্রেনের সব সমস্যার সমাধান হবে না কারণ এই ফাইটার জেটের দুর্বলতা সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই সচেতন মস্কো।

বিশ্লেষকরা আরো বলছেন, মাত্র তিন মাসে ইউক্রেনীয় সেনাদের ফাইটার জেট সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব। কিন্তু, এ বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে কয়েক মাস বা বছর লেগে যেতে পারে।

সেক্ষেত্রে এই বিমান কেবল ইউক্রেনীয় সেনাদের মনোবল বাড়ানো এবং কিছু অঞ্চল পুনর্দখলে সহায়তা করতে পারবে। তবে দ্বিতীয়  বছরে গড়ানো যুদ্ধের গতিপথ পাল্টে দেয়ার সক্ষমতা এই ফাইটার জেটের নেই বলে মত বিশ্লেষকদের।

সূত্র: রয়টার্স

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –