• বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ২৪ ১৪৩১

  • || ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

৩২ গজ দূর পাল্লার শটে মেসির গোল, ফাইনালে মায়ামি

প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট ২০২৩  

ফোর্ড লডারহিলে অনুশীলনের সময় পা মচকে যায় লিওনেল মেসির। এমন শিরোনামে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছিল। ফলে মেসিকে নিয়ে যেমনটা শঙ্কা দেখা দিয়েছিল, তেমনই কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ পড়েছিল লিও ভক্তদের।

এমনটি তো হওয়াটাই স্বাভাবিক। কেননা লিগস কাপের সেমিফাইনালের আগে ইনজুরির কবলে মেসি! ভক্ত-সমর্থকদের পাশাপাশি ঘন কালো মেঘ জমেছিল মায়ামির আকাশে। তবে গতকালই মায়ামি কোচ টাটা মার্তিনো বলেন, ‘তেমন কিছুই হয়নি। যদিও সেটি এখনও আমি দেখিনি। যদি সেরকম কিছু হতোই তাহলে খেলোয়াড়দের মন খারাপ থাকতো। তবে আমি সেরকম কিছুই দেখিনি।’

কোচ টাটা মার্তিনোর কথাই হয়তো ঠিক ছিল। না হলে লিগস কাপের সেমিতে দেখা যাবে কেন মেসিকে। শুধু কি দেখাই গেল তাকে, দুর্দান্ত গোল করে দলের জয়ে অবদানও রাখলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।

বুধবার ভোরে পেনসিলভানিয়ার সুবারু পার্ক স্টেডিয়ামে লিগস কাপের সেমিতে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের মুখোমুখি মায়ামি। এ ম্যাচে স্বাগতিকদের ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছে টাটা মার্তিনোর শিষ্যরা। এতে ইতিহাস গড়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে এমএলএসের ক্লাবটি।

এদিন ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই নিজেদের অর্ধ থেকে দারুণ এক থ্রু বল বাড়ান সার্জি ক্রিস্তভ। এরপর বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান প্রান্ত ধরে এগিয়ে দারুণ এক কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন মার্টিনেজ। চলমান প্রতিযোগিতায় এটি তার তৃতীয় গোল। 

এরপর ২০তম মিনিটে ব্যবধানে দ্বিগুণ করে মায়ামি। সতীর্থের কাছ বল পেয়ে মার্টিনেজ বাঁ পাশে থাকা মেসিকে পাস দেন। তার বাঁ পাশে ছিলেন রবার্ট টেইলর। সবাই ভেবেছিলেন হয়তো তাকেই পাস দিবেন অধিনায়ক। কিন্তু তা না করে প্রায় ৩২ গজ থেকে আচমকা বুলেট গতিতে গড়ানো শট নেন মেসি। গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে হাতে লাগালেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। এ নিয়ে টানা ছয় ম্যাচেই তিনি গোল পেলেন।

এ ম্যাচে মায়ামির হয়ে নিজের স্কোরের খাতা খুলেন আলবাও। বিরতিতে যাওয়ার আগমুহূর্তে টেইলরের কাছ থেকে পাওয়া বল নিয়ে তিনি বাঁ প্রান্ত ধরে এগিয়ে যান। এরপর ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে বল জালে পৌঁছান স্বাগতিক গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে। ৩-০ ব্যবধান নিয়ে বিরতির আগেই জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে মায়ামি।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। অন্যদিকে অনেকটা রিল্যাক্স মুডে খেলতে থাকা মায়ামি দুটি বড় সুযোগ হাতছাড়া করে অফসাইডের বাধায়। এরপর নিজেদের ভুলে বল পেয়ে যায় ফিলাডেলফিয়া। কর্নার ঠিকভাবে ক্লিয়ার করতে না পারায় বল পেয়ে বেদয়া জোরালো শটে তাদের ব্যবধান কমান। এ

রপর অবশ্য মায়ামিও কিছুটা গতি বাড়ায়। ডিয়ান্দ্রে ইয়াদলিনের কাছ থেকে পাওয়া গোলে চতুর্থ গোলটি করেন বদলি খেলোয়াড় রুইজ। এতে ৪-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মেসি-আলবারা।

শনিবার (১৯ আগস্ট) মায়ামি প্রথম কোনো শিরোপার আশায় মন্টেরি কিংবা ন্যাশভিলের বিপক্ষে মাঠে নামবে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –