• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

বাঁচতে চায় বেরোবি শিক্ষার্থী নাসিম 

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২১  

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়নের সংগ্রাম শুরু হতে না হতেই ভেঙে যেতে বসেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী নাসিম হুদার (২২)। এখন তার পড়ার টেবিলে ব্যস্ত থাকার কথা থাকলেও কোমরের টিউমারের ব্যথায় কাতরাচ্ছে সে।

এর আগে ২ বার কোমরের টিউমারের অপারেশন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত তার চিকিৎসায় প্রায় ৫-৬ লাখ টাকা খরচ করেছে পরিবার। 
এবার নতুন করে আরও টিউমার হয়েছে। আকারেও অনেক বড়। চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছেন দেশের বাইরে নিয়ে অপারেশন করানোর। এতে প্রয়োজন প্রায় ৭-৮ লাখ টাকা। কিন্তু তার পরিবারের কাছে কোনো টাকা নেই। তাই তারা সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন।

নাসিম হুদার বাড়ি ঠাকুরগাঁয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নে। তার বাবা জাহিরুল ইসলাম দলিল লেখা ও কৃষিকাজ করতেন। বর্তমানে তিনিও অসুস্থ। তিন ভাই-বোনের মধ্যে নাসিম হুদা দ্বিতীয়। বড় ভাই বর্তমানে দলিল লেখার কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন।

নাসিম হুদা জানায়, ক্লাস নাইনে থাকা অবস্থায় শীতের সময় হলেই কোমর ব্যথা শুরু হতো। তবে গ্রামের ডাক্তারের ওষুধ খেলেই সুস্থ হয়ে যেত সে। এরপর ২০১৮ সালে ব্যথা বেশি হলে দিনাজপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারের পরামর্শে এমআর আই করানো হয়। এতে কোমরে টিউমার ধরা পড়ে এবং অপারেশন করানো হয়। এর কয়েক মাস পর আবারো ব্যথা শুরু হলে ডাক্তারকে দেখানো হয়। টেস্টে আবারো টিউমার ধরা পড়ে। 

পরের বছর রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে অপারেশন করানো হয়। আবারো কয়েক মাস পর ব্যথা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শে টেস্ট করা হয় এবং আবারো টিউমার ধরা পড়ে। পরপর ২ বারের অপারেশনে পরিবার আর্থিক সমস্যায় পড়ে যায়। এ কারণে আর অপারেশন করানো হয়নি।
আবারও ২০২১ সালে প্রচণ্ড ব্যথা দেখা দিলে ডাক্তারকে দেখানো হয়। টেস্ট করার পর ডাক্তার জানায় টিউমার অনেক বড় হয়েছে। দ্রুত অপারেশন করে টিউমারটি অপসারণ করতে হবে। তবে ডাক্তার ভারতে গিয়ে অপারেশনের পরামর্শ দেন। এতে খরচ প্রায় ৭-৮ লাখ টাকা। যা আমার পরিবারের পক্ষে অসম্ভব।

নাসিম হুদার বড় ভাই নাজমুল হুদা জানায়, আমাদের নিম্নবিত্ত পরিবার। এ পরিবার থেকে ছোট ভাই নাসিম হুদার জন্য ২ বার অপারেশন ও চিকিৎসা বাবদ প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ব্যাংক ও এনজিওতে ঋণ করা হয়েছে। এখনো প্রতিমাসে একাধিক কিস্তি দেয়া লাগে। এমতাবস্থায় নতুন করে অপারেশনের জন্য সাত থেকে আট লাখ টাকা ম্যানেজ করা অসম্ভব। তাই সমাজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলকে নাসিমের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।

নাসিম হুদার মা বলেন, আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। আর টাকা দেয়ার মতো আর ক্ষমতা নেই আমাদের। ছেলেটাকে আল্লাহর হাতে তুলে দিয়েছি। এখন ওপরে আল্লাহ আর নিচে তোমরা। আমার ছেলেটার জন্য কিছু করেন।

সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ইলিয়াস সাব্বির বলেন, আমরা নাসিম হুদার বিষয়টি অবগত আছি। শিক্ষার্থীদের ফান্ড কলেকশন করতে বলেছি। এছাড়া আমাদের বিভাগের একটি ফান্ড রয়েছে সেখান থেকেও তাকে হেল্প করা হবে।

নাসিমের রোগের ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলা যাবে নম্বরে 01701901861

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –