• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

ডিমলা উপজেলায় তিস্তা চরে ছাগল পালন করেই স্বাবলম্বী রানা

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২২  

ডিমলা উপজেলায় তিস্তা চরে ছাগল পালন করেই স্বাবলম্বী রানা           
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তার নদীর চরে দেশি-বিদেশি জাতের ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন আব্দুর রহিম রানা। গড়ে তুলেছেন বিশাল একটি খামার। ১৯৯৬ সালে বন্যায় বাপ-দাদার জমি-জমা হারিয়ে নিঃশ্ব হয়ে পড়েন। অভাব ও অসচ্ছলতা থাকার কারণে আর লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেননি আব্দুর রহিম রানা। শিক্ষাগত যোগ্যতা হলো দশম শ্রেণি পর্যন্ত।

ভাগ্যের চাকা ঘোড়াতে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় খুজতে থাকেন কর্মসংস্থান। সুবিধা জনক কর্মসংস্থান না পাওয়ায় ২০১৯ সালের শেষ দিকে নিজের বাড়িতে ছাগল পালন শুরু করেন। প্রথম দিকে  আটটি ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল’ জাতের ছাগল কিনে বাড়িতে পালন শুরু করেন। এর এক বছর পর চারটি ছাগল থেকে তিনি লাভ পেতে শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি বড় পরিসরে একটি খামার করার চিন্তা করেন।

এরপর তিনি ভারত থেকে হরিয়ানা, তোতাপারি, যমুনাপারি জাতের বিদেশি ছাগল কিনে আনেন। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এক সময়ের শিক্ষিত বেকার যুবক মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে হয়ে ওঠেন একজন সফল উদ্যোক্তা। বর্তমানে তার খামারে ব্ল্যাক বেঙ্গল, হরিয়ানা, তোতাপারি, যমুনাপারি জাতের প্রায় ৪০টি ছাগল রয়েছে। এসব ছাগল পরিচর্যায় অন্যান্য সদস্যরাও।

আব্দুর রহিম রানা জানান, ৯৬ সালে তখন আমি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি বন্যার পরেও কষ্ট করে লেখাপড়া চালিয়েছি সংসারে অভাব- অনাটন নেমে আসায় আর চালিয়ে যেতে পারিনি লেখাপাড়া। দশম শ্রেণিতে সমাপ্তি টানতে হয় লেখাপড়ার। নিজে উদ্যেগ গ্রহন করে ৮টি ছাগলের বাচ্চা ক্রয় করি। প্রতিদিন ছাগলগুলোর জন্য বিভিন্ন যায়গা থেকে কাঁঠালের পাতা সংগ্রহ করতাম।। বিদেশি জাতের এই ছাগলগুলো প্রতি বছর দুই বার বাচ্চা দেয়।  একটি এক বছর বয়সের ছাগলের ওজন ১০০ কেজি মতো হয়ে থাকে। প্রতি মাসে ৫-১০টি ছাগল এখান থেকে অনেকে কিনে নিয়ে যান।

নীলফামারী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোনাক্কা আলী বলেন, আব্দুর রহিম রানা এক সময় আমার কাছে বিদেশি জাতের ছাগল পালনের ব্যাপারে পরামর্শ নিতে আসছিলেন। আমি তাকে বিদেশি হরিয়ানা, তোতাপারি ও যমুনাপারি জাতের ছাগল পালনের ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছি। তিনি এখনও প্রায় আমাদের কার্যালয়ে এসে বিভিন্ন ছাগলের ব্যাপারে পরামর্শ নেন। তার মতো যদি কেউ আমাদের কাছে যে কোনো প্রাণির ব্যাপারে পরামর্শ নিতে আসেন আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –