• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামে লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী পালন

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২  

কুড়িগ্রামে লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী পালন                   
কুড়িগ্রামে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় কুড়িগ্রামের কৃতি সন্তান সব্যসাচী লেখক কবি সৈয়দ শামসুল হকের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে কুড়িগ্রামবাসী। এ উপলক্ষে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সবস্তরের মানুষ।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে শায়িত সব্যসাচী লেখক কবি সৈয়দ শামসুল হকের সমাধিতে  জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষজন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত ডিসি মিনহাজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যাক্ষ মো. মির্জা নাসির উদ্দীন, একুশে পদক প্রাপ্ত অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন, কবিপুত্র দ্বিতীয় সৈয়দ হক, কুড়িগ্রাম জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক শ্যামল ভৌমিক প্রমুখ।

প্রয়াত লেখক সৈয়দ শামসুল হকের পুত্র দ্বিতীয় সৈয়দ হক বলেন, আমার বাবার সমাধি ও কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজটি ঝুলে আছে। আমি চাই দ্রুত এ কাজটি শুরু করা হোক।

কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর ও একুশে পদকপ্রাপ্ত এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, দেশ বরেণ্য লেখক সৈয়দ শামসুল হকের সমাধি সৌধ ও কমপ্লেক্সটি নির্মাণ হলে এখানে তার সাহিত্য কর্ম নিয়ে গবেষণা হবে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এখানে এসে তার বই পড়তে পারবে।

বাংলা সাহিত্যের সব্যসাচী খ্যাত লেখক কবি সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম শহরের থানা পাড়ার পৈতৃক নিবাসে জন্মগ্রহণ করেন। সৈয়দ হক তার বাবা-মায়ের আট সন্তানের মধ্যে সবার বড়। বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন ও মা হালিমা খাতুন। বাবা পেশায় ছিলেন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার।

বাংলা সাহিত্যের সব শাখায় সমানভাবে পদচারণার জন্য সৈয়দ শামসুল হককে ‘সব্যসাচী লেখক’ বলা হয়। তিনি ১৯৬৪ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়াও তিনি একুশে পদক এবং স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। 

বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে ১৯৮৪ সালে একুশে পদক এবং ২০০০ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে সরকার। 

দেশ বরেণ্য কবি সৈয়দ শামসুল হক ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান। কবির শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে লাশ কবির জন্ম শহর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে নিয়ে আসা হয়। পরে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে জানাজা শেষে তাকে কলেজের মূল ফটক চত্বরে দাফন করা হয়।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –