• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

দুর্গাপূজায় হিলি চেকপোস্ট দিয়ে বেড়েছে যাত্রী পারাপার

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০২২  

দুর্গাপূজায় হিলি চেকপোস্ট দিয়ে বেড়েছে যাত্রী পারাপার                    
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাসপোর্টে যাত্রী পারাপার কয়েকগুণ বেড়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাচ্ছেন বেশি। কেউ যাচ্ছেন স্বজনদের সঙ্গে পূজা উদযাপন করতে, আবার কেউবা আসছেন ভারত থেকে বাংলাদেশে। আবার অনেকে লম্বা ছুটি নিয়েও যাচ্ছেন ভ্রমণে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভ্রমণ, ব্যবসা, চিকিৎসা সহ নানা কাজে সারা বছরই দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার মানুষেরা ভারতে যাতায়াতের জন্য হিলি চেকপোস্ট ব্যবহার করে থাকেন। তেমনি ভারতের লোকজনেরাও এই চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। করোনার কারণে গত ২০২০ সালের ২৩ মার্চ এই পথ দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ ছিল। দীর্ঘ দুই বছর পর করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে আবারও এই চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার শুরু হয়। প্রথম দিকে পারাপারের সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে।

সরেজমিনে হিলি চেকপোস্টে গেলে কথা হয় বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার প্রাক্কালে পাসপোর্ট যাত্রী অরুনা ঘোষের সঙ্গে। তিনি জানালেন, দেশেই প্রতি বছর দুর্গাপূজা উদযাপন করি। আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার ভারতে দুর্গাপূজা উদযাপন করবো। তাই আজ ভারতে আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছি। সেখানে সবার সঙ্গে আনন্দ করে পূজা করবো।

আরেক যাত্রী বিশ্বজিত রায় জানান, করোনার কারণে যেতে পারিনি। ভারতে আমার কাকারা থাকেন। তাদের আমন্ত্রণে যাচ্ছি। উৎসব শেষে চলে আসব।

মহুয়া সরকার ভারতের কলকাতা থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি বললেন, পরিবারের সাথে ভারতে তো দুর্গাপূজা উদযাপন করি। কিন্তু বাংলাদেশে দুর্গাপূজার প্রতিমা দেখতে কেমন হয় সেটি দেখার জন্য এসেছি। গাইবান্ধা থেকে আত্মীয় এসেছেন আমাকে নিতে। আমি এই প্রথম পাসপোর্ট-ভিসা করে আসলাম। খুব ভালো লাগছে।

অনিল কুমার সাগর বলেন, করোনায় লকডাউন থাকায় পারাপার বন্ধ ছিল। ফলে দুই বছর বাংলাদেশে আসা হয়নি। পূজা উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা হবে। এটাই মজা। এর চেয়ে আর কি আনন্দের হতে পারে।

এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বদিউজ্জামান বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশে পাসপোর্টে যাত্রী পারাপার অনেকটা বেড়ে গেছে। প্রায় সময় ভীড় হচ্ছে। শৃঙ্খলার জন্য লাইন করে দেওয়া হচ্ছে। গেল দুই সপ্তাহ আগে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৩৫০-৪০০ যাত্রী পারাপার করলেও বর্তমানে তা বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হচ্ছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –