• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

শূন্যরেখায় দাঁড়িয়ে দূর থেকে স্বজনদের দেখলেন তারা

প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০২২  

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এই পূজাকে কেন্দ্র করে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় স্বজনদের এক নজর দেখতে জড়ো হন দুদেশের শত শত মানুষ। এবারের পূজায়ও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। দূর থেকে স্বজনদের দেখেছেন দুই দেশের বাসিন্দারা।

একটি পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়ন নিয়ে হাকিমপুর উপজেলা গঠিত। উপজেলায় শিশুদের এবং বড়দের বিনোদনের তেমন কোনো পার্ক না থাকায় বিশেষ দিনে সীমান্তের শূন্যরেখায় দর্শনার্থীরা ভিড় করেন। এ সময় ওই স্থানে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

সেখানে দুদেশের মাঝে ব্যবধান কাঁটা তারের বেড়া। দর্শনার্থীরা বেড়া থাকায় সরাসরি কথা না বলতে পারলেও দূর থেকে স্বজনদের দেখে শান্তি খুঁজে পান।

বুধবার (৫ অক্টোবর) সরেজমিন দেখা যায়, দুর্গাপূজার দশমীর দিনে সকাল থেকেই হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় দর্শনার্থীদের ভিড়। এ যেন এক অন্যরকম দৃশ্য। জড়ো হওয়া দর্শনার্থীরা সীমানা ঘেঁষে রেললাইনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। কেউ দূর থেকে দাঁড়িয়ে স্বজনদের সঙ্গে ইশারায় কথা বলেন। বড়দের সঙ্গে ছোটরাও এসেছে এখানে।

কথা হয় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী থেকে আসা কৃষ্ণা রানীর সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় আমি প্রথম এলাম। ভারতে আমার নানির সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।’

রাজশাহী থেকে আসা বদিউজ্জামান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘হিলি বাংলাদেশর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এখান দিয়ে দুদেশের মধ্যে বেশ কিছু পণ্য আমদানি করা হয়। এখানে এসে খুব ভালো লাগলো।’

রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন শাকিল হোসেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা শুনেছি বিশেষ দিনে হিলি সীমান্তে বর্ডার খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু এসে দেখলাম তেমন কিছুই নয়। বাধ্য হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে দর্শনার্থীদের বসার জায়গা নেই। খাবারের ব্যবস্থা নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নজর দিলে অনেকের উপকার হতো।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিবির কয়েক সদস্য বলেন, ‘সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে রয়েছি। দুই দেশের লোকজন দুর্গাপূজায় দুপাশে ভিড় করছেন। তারা স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে স্বজনদের কাছে গিয়ে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয় না।’

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –