• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

বন্যার তিন দিন আগে ফোনে যাবে সতর্কবার্তা

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২১  

দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে গতিশীল করতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বন্যা শুরুর তিন দিন থেকে তিন ঘণ্টা আগে বন্যাপ্রবণ এলাকার মানুষের মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।

সোমবার পানি ভবনে ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থা’র উদ্বোধন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড, এটুআই ও আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিবিষয়ক সংস্থা গুগলের সহাতায় একটি উন্নত বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। এ কার্যক্রমের আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিদ্যমান আগাম পাঁচ দিনের বন্যা পূর্বাভাস উপাত্তকে প্রক্রিয়াকরণ করে এ কাজ করা হচ্ছে। উন্নততর প্লাবন মানচিত্রের সাহায্যে বন্যা শুরু হওয়ার তিন দিন থেকে তিন ঘণ্টা সময় আগে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।’

জাহিদ ফারুক বলেন, ‘প্রান্তিক জনসাধারণের কাছে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে পৌঁছাতে এসএমএস পদ্ধতিতে পূর্বাভাস পাঠানোর বিষয়টি মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের সাথে চলমান রয়েছে। খুব দ্রুত মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের কাছে তথ্য পাঠানো সম্ভব হবে। ২০২০ সালে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও পদ্মা নদী তীরবর্তী ১৪টি জেলার ৩৮টি উপজেলায় এ কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়। ২০২০ সালে বন্যাকবলিত এলাকার তিন লাখ অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারকারীকে প্রায় ১০ লাখ পুশ নোটিফিকেশন পাঠানো হয়েছে।’

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘সারা দেশে ১০৯টি স্টেশনে বন্যা মনিটরিং এবং ৫৫টি স্টেশন থেকে বন্যা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ হচ্ছে। গুগলের কারিগরী সহায়তায় ৫৫টি জেলার ৯৯টি উপজেলার বন্যাপ্রবণ এলাকার প্রায় ১০ কোটি মানুষের কাছে বন্যার আগাম তথ্য ও পূর্বাভাস প্রচার হচ্ছে। তিন দিন থেকে তিন ঘণ্টার পরিবর্তে সাত দিন থেকে ১০ দিন আগে পূর্বাভাস দেওয়া এবং এসএমএসের মাধ্যমে সাধারণ জনগোষ্ঠীর কাছে ম্যাসেজ পাঠিয়ে তাদের সতর্ক করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমি আশা করবো।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে যদি আমরা তিন দিন বা তিন ঘণ্টা আগেও মানুষদের সতর্ক করতে পারি তাহলে অনেক জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব। এই ডিজিটাল পূর্বাভাসের সময় আরো বৃদ্ধির জন্য গুগলের সঙ্গে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘২০২০ সালে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও পদ্মা নদী তীরবর্তী ১৪টি জেলার ৩৮টি উপজেলায় এই কার্যক্রমটি পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করা হয়। ২০২০ সালে ৩ লাখ অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মাধ্যমে ১০ লাখ স্মার্ট নোটিফিকেশন বন্যাকবলিত এলাকার জনগণের কাছে পাঠানো হয়েছে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বললে বিএনপি আগে টিপ্পনী কাটতো। কিন্তু আজ ডিজিটাল ব্যবস্থায় হাওরসহ সব এলাকায় আমরা সঠিক পূর্বাভাস পাঠাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার দুর্যোগ মোকাবেলায় শিক্ষকের ভূমিকা পালন করছে। নদী ভাঙনের ঝুঁকি কমানোর কাজ চলমান রয়েছে।’

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিন এবং ভার্চুয়াল মাধ্যমে এটুআই’র পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী ও গুগল’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়ুসি মাতিয়াছ  বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –