• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

এনরোলমেন্ট আর্থিক সহায়তার আবেদন হাবিপ্রবির ৪২৭ শিক্ষার্থীর

প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২২  

এনরোলমেন্ট আর্থিক সহায়তার আবেদন জমা দিয়েছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ৪২৭ শিক্ষার্থী। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ।  
গত এপ্রিল মাস থেকে শুরু করে ১২ মে পর্যন্ত এনরোলমেন্ট আর্থিক সহায়তার আবেদন জমা নেয় ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ বলেন, আমরা যাচাই প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে বেশকিছু বিষায়দির উপর স্কোরিং করবো। আমাদের ট্রাস্টি বোর্ডের কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে কতজন শিক্ষার্থী এ সহায়তা পাবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।

তিনি বলেন, প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে যাদের সিজিপিএ ভালো হবে তার স্কোর বেশি হবে। এছাড়াও পিতা বেঁচে থাকলে এবং মা মারা গেলে এক রকম স্কোরিং হবে। পক্ষান্তরে মা বেঁচে থাকলে এবং মা মারা গেলে অন্য আরেক রকম স্কোরিং হবে। কিংবা বাবা ও মা উভয়ে বেঁচে থাকলে অথবা উভয়েই মারা গেলে আরেক রকম স্কোরিং হবে। এবং এনরোলমেন্ট আর্থিক সহায়তার জন্য প্রার্থীর বাসায় সদস্য সংখ্য কত সে ব্যাপারটিও স্কোরিং এর ক্ষেত্রে সমান ভাবে গুরুত্ব দেয়া হবে।

আবার প্রার্থীদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো সাক্ষাৎকার নেয়া হবে কিনা এব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ আরো বলেন, প্রয়োজন মনে করলে আমরা প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করবো। তবে কোনো প্রার্থী ভুল তথ্য দিয়ে থাকলে উক্ত প্রার্থীর আবেদন সরাসরি বাতিল বলে গণ্য হবে। আমরা যথাযথ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যবলি সম্পাদন করার ব্যাপারে আমরা সবাই একমত হয়েছি।

এদিকে, এনরোলমেন্ট আর্থিক সহায়তার জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দুই হাজার টাকা করে পাবেন বলে প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ । ১৫ জুনের মধ্যেই এই অর্থ সহায়তা শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে বলে জানা যায়। ট্রাস্টিবোর্ডের নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় দীর্ঘ প্রায় চার বছর থেকে এ আর্থিক সহায়তা পায়নি হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা। তবে এখন থেকে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ভাবেই বছরে দুই বার এই অর্থ সহায়তা পাবে বলে কতৃপক্ষ নিশ্চিত করেন।

অন্যদিকে, সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিস অনুষদের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, এনরোলমেন্ট আর্থিক সহযোগিতা হাবিপ্রবির অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের অধিকার। দীর্ঘদিন এ আর্থিক সহায়তা না পেয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে এনরোলমেন্টের টাকা জমা দেয়ার সময় অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। কারণ হাবিপ্রবির এনরোলমেন্ট ও হল ক্লিয়ারেন্স নিতে প্রায় প্রতি সেমিস্টারে পাঁচ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হয়। যা অনেকের পক্ষে অনেক কষ্টসাধ্য। কারণ হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের একটি অংশ নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা। তবে বর্তমান প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশা থাকবে অতীতের ন্যায় যেনো ধনী পরিবারের কোনো শিক্ষার্থী এ অর্থ সহায়তা না পায়। যারা প্রকৃত অসচ্ছল এবং মেধাবী শিক্ষার্থী তাদের মাঝেই যাতে এই অর্থ দেয়া হয়।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –