• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

বিএনপি নেতোদের সমালোচনা করাই কাল হলো তৈমুরের 

প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারি ২০২২  

বিগত ১৪ বছর সহ্য করলেও সম্প্রতি বিএনপির নেতারাই দলের বিভিন্ন নেতার নাম উল্লেখ করে ফেসবুকে চরম সমালোচনা করছেন। এদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার অন্যতম। তবে তার এ বাকস্বাধীনতার জবাব দিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড।

গত ২৫ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পদ থেকে তৈমুর আলমকে প্রত্যাহারের পর চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

তৈমুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগমীর, এমনকি সিনিয়র অনেক নেতার সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লেখালেখি করেছেন।

বিএনপির হাইকমান্ড থেকে নেতাদের প্রতি কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, দলের কোনো বিষয়ে অনিয়ম ও বিচ্যুতি চোখে পড়লেও সেটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা যাবে না। প্রয়োজনে অনিয়মের বিষয়ে হাইকমান্ডকে ফোনে জানাতে হবে।

আর এসব বিষয় তোয়াক্কা না করাতেই বিএনপি নেতা তৈমুর আলমকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরপরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলের কেউ উচ্চবাচ্য করলে তাকেও হাইকমান্ড থেকে বহিষ্কার করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র বলছে, যোগ্য পদ না পাওয়া, প্রতিটি নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়, খালেদা জিয়ার মুক্তি আদায় ও আন্দোলন-সংগ্রাম গড়তে ব্যর্থতার সমালোচনায় বিভিন্ন সময়ে তৃণমূলের সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হতে হয়েছে বিএনপির হাইকমান্ডকে।

এছাড়া দলের নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব, কমিটি মনোনয়ন ও পদ বিতরণসহ নানা ইস্যুতে বিভিন্ন সময়ে হাইকমান্ডকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে নেতিবাচক মন্তব্য শুনতে হচ্ছে।

ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে এসব অনিয়ম এবং বিচ্যুতি নিয়ে কর্মীদের লেখালেখির কারণে তৃণমূল বিএনপিতে বাড়ছে বিশৃঙ্খলা ও হতাশা। এর ফলে সংগঠিত করা যাচ্ছে না দীর্ঘদিন ধরে বিশৃঙ্খল হয়ে পড়া তৃণমূলকে।

এছাড়া খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুলদের মতো নেতাদের নিয়ে নিজ দলীয় কর্মীরা কঠোর সমালোচনা করায় রাজনীতিতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে হাইকমান্ডকে। 

অনেক ক্ষেত্রে ফেসবুকে দলের বিরুদ্ধে নেতিবাচক লেখালেখির কারণে অবিশ্বাস, অনাস্থা ও হতাশার কারণে দলত্যাগী নেতাদের সংখ্যাও সমানতালে বাড়ছে। তাই দলীয় প্রধানসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সম্মান রক্ষার পাশাপাশি তৃণমূলে দলত্যাগ আটকাতে ফেসবুকে কর্মীদের নেতিবাচক লেখা বন্ধ রাখতে কঠোর হয়েছে বিএনপি।

আর যারা আইন অমান্য করে নেতিবাচক লেখালেখি করবে, তাদের তৈমুরের মতো বহিষ্কার করা হবে। মোট কথায় দলের সম্মান রক্ষায় কঠোর হতে যা করা প্রয়োজন, তা-ই করবে বিএনপি।

এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে এই নয় যে, আপনি যাকে-তাকে অপমান করবেন। নেতিবাচক রাজনীতি ঠেকাতে আমারা বদ্ধপরিকর। মূল কথা হলো দলের সমালোচনা ও গোপনীয়তা-বিষয়ক কিছু নিয়ে কর্মীরা কথা বলতে পারবেন না।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –