• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

মশলাদার খাবার খেলে মেনে চলুন সাত নিয়ম

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০২১  

ঈদের আর খুব বেশি দেরি নেই। উৎসব প্রিয় বাঙালির ঈদের দিনের খাবার বেশ একটু জমিয়েই রান্না করা হয়।

তবে গরমে কিন্তু বেশি তেলমশলা দেওয়া খাবার খেলে শরীর খারাপ হতে পারে৷ বিশেষ করে একদিকে যেমন পেটের সমস্যা তৈরি করে, অন্যদিকে মেদ বৃদ্ধিতেও অবদান রাখে এসব খাবার। এরপরও কোনো না কোনো সময় মশলাদার খাবারগুলো খাওয়া হয়েই যায়। এমন খাবার খাওয়ার পর কি করা প্রয়োজন সেটাই জেনে রাখুন।

১. কুসুম গরম জল পান করুন:
তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পর কুসুম গরম পানি পান করলে পাকস্থলীর কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়া হালকা গরম পানি পান করা হলে গ্রহণকৃত খাদ্য ভালোভাবে হজম হয়। তৈলাক্ত খাবার থেকে পেটের সমস্যার সম্ভাবনা কমে আসে।

২. ডিটক্স ওয়াটার পান করুন:
মৌসুমি বিভিন্ন ফলের কয়েকটি টুকরো ফেলে দিন কাচের জগ বা বোতলে। এরপর বোতলটা পুরো ভর্তি করে নিন পানি দিয়ে। ইচ্ছে হলে এর মধ্যে কিছু পুদিনা পাতাও দিতে পারেন। পাত্রসহ পানিটা এবার ফ্রিজে রেখে দিন। সারারাত থাকলে ফলের ফ্লেভারটা পানিতে মিশে যাবে। তারপর পানিটা ছেঁকে পান করুন। এতে শরীরের ভেতরের টক্সিন ও ক্ষতিকর উপাদান বের হয়ে যায়। আর তাৎক্ষণিকভাবে এই ডিটক্স ওয়াটার তৈরি করতে চাইলে পানি, লেবুর রস ও শসার রস একসঙ্গে মিশিয়ে পান করুন।

৩. খাওয়া শেষে হাঁটুন:
শুধু তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পরেই নয়, বরং প্রতিবার খাবার খাওয়ার পর অন্তত ১০০ পা হাঁটা প্রয়োজন। এতে করে খাবার ভালোভাবে পরিপাক হয় এবং খাবারের ফ্যাট শরীরে জমতে পারে না। তবে তৈলাক্ত খাবারের বাড়তি ফ্যাট যেহেতু সহজেই তলপেটে জমে যায়, তাই এমন খাবার খাওয়ার পর অন্তত ২০ মিনিট সময় নিয়ে ধীরে ধীরে হাঁটতে হবে।

৪. শসা খেতে হবে:
বলা হয়ে থাকে শসা শরীরের বাড়তি চর্বিকে কমিয়ে আনতে সবচেয়ে উপকারী একটি সবজি। এ কারণেই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসে শসার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয় বেশি। তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার এক থেকে দুই ঘণ্টা পর কচি শসা খেতে পারেন। এতে উপকার পাবেন বেশ।

৫. টক জাতীয় ফল খান:
লেবু, কমলালেবু, বাতাবিলেবুর মতো টক স্বাদের ফলগুলো থেকে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি। এছাড়া এই ফলগুলোতে থাকা অ্যাসিড তেল ও চর্বির নেতিবাচক প্রভাবকে কমিয়ে আনতেও কার্যকরী। তৈলাক্ত খাবার খাওয়া শেষে যে কোনো ফল সম্পূর্ণ অথবা অন্যান্য ফলের সঙ্গে মিশিয়ে ফ্রুট সাল্যাড হিসেবে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৬. খেতে পারেন দই:
তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পরে এক কাপ দই খেলে অনেক আরাম পাওয়া যায়। এটি আপনার পেটকে শক্তিশালী করার সেরা উপায়।

৭. খাওয়ার পরপরই ঘুম নয়:
ভারী খাবারে পর সঙ্গে সঙ্গে বিছানায় যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বেশি তেলমশলার খাবার খাওয়ার অন্তত দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর ঘুমোতে যাওয়া উচিত। খাওয়ার পরপরই ঘুমানো খাবার হজম করতে সমস্যা করে। এটি প্রদাহের সাথে সাথে চর্বি জমে যাওয়ার সম্ভাবনাও ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তোলে।

একটু বেশি মশলাদার বা তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পর মেনে চলুন এই সাত টোটকার একটি। আশা করা যায় তাতে ক্ষতি হবে না শরীরের। তবে সবথেকে উত্তম যতটা সম্ভব, তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলা।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –