• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

যে ভুলগুলোর কারণে লাখ চেষ্টা করেও কমে না ওজন

প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৩  

 
শুধু ওজন কমাবো বললেই হলো না। এই কাজটি করতে চাইলে নির্দিষ্ট ডায়েট ও শরীরচর্চার রুটিন অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হয়। তারপরই বশে আসবে আপনার ওজন। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ওজন বেশি থাকলে ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, হার্টের অসুখ, স্ট্রোক, থাইরয়েডসহ বিভিন্ন বিপাকীয় সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকী নারীদের ক্ষেত্রে সমস্যার আশঙ্কা আরো কয়েকগুণ বেশি। তাদের পিসিওডি, হরমোনে তারতাম্য, এমনকী বন্ধ্যাত্বের সমস্যা পর্যন্ত দেখা দিতে পারে। তাই ওজন কমাতেই হবে।

তবে অনেকের আবার খুব চেষ্টা করার পরও ওজন কমে না। সেক্ষেত্রে তাদের কয়েকটি ভুলেই দেহ থেকে মেদ ঝরতে চায় না। আর চেষ্টা করার পরও ওজন না কমলে তারা আশাহত হন। তাদের মধ্যে অনেকেই মাঝপথে হাল ছেড়ে দেন। তবে হাল ছাড়লে চলবে না প্রিয় পাঠকবৃন্দ! বরং ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় কোথায় ভুল হচ্ছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। তবেই ওজন কমবে তরতরিয়ে। যেমন-

(১) ক্যালোরির হিসাব না রাখা:​ ওজন কমাতে গেলে আপনাকে সবার প্রথমে ক্যালোরির হিসাব রাখতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি খাবার খাওয়ার সময় ক্যালোরি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। নইলে ওজন কমবে না। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। ধরুন আপনার দৈনিক ক্যালোরি চাহিদা ১৬০০। এবার ওজন কমাতে চাইলে আপনাকে প্রতিদিন ১৪০০ ক্যালোরির মতো খেতে হবে। প্রতিদিন ২০০ ক্যালোরি করে ঘাটতি রাখতে পারলেই ওজন কমবে। কিন্তু অনেকেই এই কাজটা ঠিকমতো করে উঠতে পারেন না। যা খুশি তাই খান। ফলে ওজন বাড়ে।

(২) শরীরচর্চায় ফাঁকিবাজি:​ ওজন কমানো কোনো ছেলেখেলা নয়। এই কাজটা করতে গেলে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। এমনকী রোজ ব্যায়াম করাও প্রয়োজনীয়। তবে অনেকেই ব্যায়াম করার সময় ফাঁকিবাজি করেন। তারা লোক দেখিয়ে জিমে যান। সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটান। তবে ব্যায়াম করেন হয়তো সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট। বাকি সময় গল্পগুজব করেই কাটিয়ে দেন। এরপরও আশা করেন ওজন কমে যাবে। আপনিই বলুন, এতে কি ওজন কমে?

(৩) নিত্যদিন ওজন মাপা:​ ওজন একদিনে বা দুইদিনে কমে যাবে না। তাই নিত্যদিন ওজন মাপার অভ্যাসটা ছাড়তে হবে মশাই। এক্ষেত্রে ৫ দিন ব্যায়াম করে কেউ যদি ভাবেন ১ কিলো ওজন কমে যাবে, তবে ভুল করছেন। এইটুকু সময়ে শরীর থেকে খুব একটা মেদ না ঝরতেই পারে। এদিকে ওয়েট মেশিনে দাঁড়িয়ে ওজনকে একই জায়গায় থাকতে দেখে আপনার মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। এমনকী ডিমোটিভেট হয়ে ব্যায়াম ও ডায়েট ছাড়তে পারেন। তাই নিয়মিত ওজন মাপার ভুলটা আর করবেন না।

(৪) পর্যাপ্ত প্রোটিন না খাওয়া:​ ওজন কমাতে গেলে অন্যান্য খাবার ছেড়ে প্রোটিনের দিকে জোর দিতে হয়। হেলথলাইন জানাচ্ছে, প্রোটিন খাওয়া বৃদ্ধি করলে খিদে কম পায়, পেট ভর্তি থাকার অনুভূতি মেলে, ওজন খুব একটা বাড়ে না, পেশি তৈরি হয়, মেটাবলিজম ত্বরান্বিত হয়, মাসল-মাস রেশিও ঠিক থাকে। তাই ওজন কমাতে চাইলে প্রোটিন খাওয়া বাড়াতে হবে। তবে অনেকের ডায়েটে প্রোটিনের অংশ থাকে কম। ফলে ওজনও কমে না।

(৫) ফাইবার যুক্ত খাবারে অরুচি:​ মনে রাখবেন, ওজন কমাতে চাইলে প্রোটিনের পাশাপাশি ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে হবে। আপনার ডায়েটে যত বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকবে, ওজন কমার সম্ভাবনা তত বেশি। তাই তো ওজন কমানোর সময় ওটস, ডালিয়া, আটার রুটি খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে অনেকেই এই ধরনের খাবার পছন্দ করেন না। ফলে ওজন যেখানে ছিল সেখানেই রয়ে যায়।

উল্লেখ্য, প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –