• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

যুদ্ধে রাশিয়াকে উস্কানি দিচ্ছে ন্যাটো: পোপ ফ্রান্সিস

প্রকাশিত: ৫ মে ২০২২  

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে রাশিয়াকে উস্কানি দিচ্ছে ন্যাটো। ইতালির দৈনিক করিয়ের ডেল সেরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পোপ বলেন রাশিয়ার দরজায় ন্যাটোর ঘেউ ঘেউ' আক্রমণের উস্কানি দিচ্ছে।

ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পোপ ফ্রান্সিস যুদ্ধের বর্বরতার প্রতি নিন্দা প্রকাশ করেন এবং ধর্মীয় পরিভাষায় নৃশংসতা ঠেকাতে রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের নেতা প্যাট্রিয়ার্ক কিরিলের সমালোচনা করেন।
পোপ বলেন, মস্কোর প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল নিজেকে পুতিনের সেবকে পরিণত করতে পারেন না।

করিয়ের ডেলা সেরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পোপ বলেন, ইউক্রেনের প্রতি রাশিয়ার মনোভাবের জন্য উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থার আশপাশের দেশগুলো দায়ি। তাদের উস্কানির কারণেই রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ করছে বলে আমার মনে হয়।

এদিকে মস্কোর প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল মঙ্গলবার ক্রেমলিনের আর্চেঞ্জেলের ক্যাথেড্রালকে বলেন, রাশিয়া কখনো কাউকে আক্রমণ করেনি। আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধে যেতে চাইনা। রাশিয়া কোনো দেশকে আক্রমণ করতে পারে আপনাদের এই দাবি মিথ্যা। ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সিও তার এই মন্তব্য উদ্ধৃত করেছে।

প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল আরো বলেন, বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ও মহান দেশ হয়েও রাশিয়া কাউকে আক্রমণ করেনি- এটাই বরং আশ্চর্যের ঘটনা। রাশিয়া শুধু তার সীমানা রক্ষা করছে।

পোপ ফ্রান্সিস ফেব্রুয়ারি থেকেই যুদ্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্ভোগের শিকার ইউক্রেনের পক্ষ থেকে নিন্দা জানিয়ে আসছেন। কিন্তু স্পষ্টভাবে রাশিয়াকে আগ্রাসী হিসেবে আখ্যা দেয়া থেকে বিরত ছিলেন। ভ্যাটিকানের ঐতিহ্যগত নিরপেক্ষতা এবং রুশ অর্থোডক্স চার্চের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার ব্যক্তিগত বিষয়টি এতে প্রতিফলিত হয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে ভ্যাটিকানকে একই কাতারে দাঁড় করাতে অনিচ্ছুক তিনি।

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধকে ইরান, সিরিয়া, ইয়েমেন, ইরাক, আফ্রিকার যুদ্ধের মতো তুলনা করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। এসব সংঘাতের জন্য আন্তর্জাতিক স্বার্থ দায়ি বলে মন্তব্য করেন পোপ।

ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের ব্যাপারে পোপ বলেন, আমি জানি না কিভাবে উত্তর দেব। এসবের থেকে আমি অনেক দূরে। ইউক্রেনে অস্ত্র সরবারাহ করা ঠিক হচ্ছে কিনা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তবে বাস্তব সত্য হলো স্থল অস্ত্রের পরীক্ষা করা হচ্ছে। আমাদের তৈরি করা অস্ত্রের মহড়া দিতেই যুদ্ধ করা হচ্ছে।

অতীতে ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাতকে 'ভ্রাতৃঘাতী' বলায় পোপের সমালোচনা করে কিয়েভ। তাদের দাবি, এটা বলে রাশিয়ার আগ্রাসনকে ছোট করে দেখেছেন পোপ।

শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনার জন্য মস্কো ভ্রমণে প্রস্তুত আছেন বলেও জানান পোপ। কিন্তু তার এই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি ক্রেমলিন।

পোপ আরও বলেন, যুদ্ধের শুরুতে ভ্যাটিকানে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলাম, দয়া করে থামুন।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –