• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্ত্রীকে চুমু দিয়ে কাজে গেলে স্বামীর আয়ু এবং আয় বাড়ে!

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২১  

ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম একটি মাধ্যম হলো চুম্বন। স্ত্রীকে ভালোবেসে সব স্বামীই চুমু দিয়ে থাকেন। এর ফলে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা আরো গভীর হয়। তাছাড়া চুমুর অনেক উপকারিতাও রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চুম্বনের ফলে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। ফলে ওই ব্যক্তি আনন্দিত হয় ও তার মন ভালো থাকে। জার্মানির একদল ফিজিশিয়ান ও বিজ্ঞানীদের এক গবেষণায় উঠে আসে, চুম্বনের ফলে পুরুষের আয়ু বেড়ে যেতে পারে অন্তত ৫ বছর।

১৯৮০ সালে জার্মানিতে একটি সাইকোলজিক্যাল অধ্যয়ন হয়। দীর্ঘ ২ বছর পর এই সমীক্ষা শেষ হয়। এর ফলাফল বিচার করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা চমকপ্রদ সিদ্ধান্তে উপনীত হন। এই সমীক্ষা থেকে জানা যায়, প্রতিদিন কাজে যাওয়ার আগে যে স্বামীরা তাদের স্ত্রীকে চুম্বন করে অফিসে যান তাদের বয়স গড়ে ৫ বছর বেশি বেড়ে যায়।

আবার এই সমীক্ষা থেকে এ-ও জানা গিয়েছে যে, অফিস যাওয়ার আগে যে স্বামী নিজের স্ত্রীকে গুডবাই কিস করে যান, তারা অন্যান্যদের তুলনায় ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ বেশি অর্থ উপার্জন করেন।

জার্মানির ১১০ জন শীর্ষ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যানেজাররা এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাদের প্রশ্নোত্তরের নমুনা বিশ্লেষণ করে জানা যায়, ৮৭ শতাংশ কর্মচারীরা স্ত্রীকে অফিস যাওয়ার আগে চুম্বন করে যান। আর তারা ভালো বেতন ও পদে কর্মরত।

এই অধ্যয়নের প্রধান গবেষক ড. আর্থার সাজবোর মতে, চুম্বনের ফলে মানসিক প্রশান্তি বেড়ে যাওয়াই ইতিবাচকভাবে দিন শুরু হয়। যারা চুম্বন করেন না, তারা আত্মবিশ্বাসের অভাব নিয়েই ঘর থেকে বের হন।

জানেন কি, চুম্বন শরীরের নানান অঙ্গের ওপর গভীর প্রভাব বিস্তার করে। এটি জীবনকাল ৫ বছর পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। আরো যেসব উপকারিতা আছে চুম্বনে-

>> একটি দীর্ঘ চুম্বন ১০০ শতাংশ ক্যালোরি বার্ন করে। দিনে ৩ বার চুম্বন করলে ১.৩৫ কেজি ওজন কমতে পারে।

>> অস্ট্রেলিয়ার গবেষকদের সমীক্ষায় জানা গেছে, দীর্ঘক্ষণ চুম্বনে হৃদগতি নিয়ন্ত্রণ করতে ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

>> চুম্বনের সময় মুখের সাইকোলজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি বেড়ে যায়। ফলে রক্ত চলাচল বাড়ে। এ কারণে বলিরেখা দূর হয়।

>> ফুসফুসের জন্যও উপকারী চুম্বন। গবেষকদের মতে, চুম্বনের পর ফুসফুস সাধারণের চেয়ে ৩ গুণ বেশি কাজ করে। যা প্রতি মিনিটে ৬ ইনহেল।

>> চুম্বন রক্তে আইজিই অ্যান্টিবডির বৃদ্ধি কমিয়ে দেয়। এই অ্যন্টিবডিগুলো হিস্টামিন নিঃসৃত করে। হিস্টামিন হাঁচি ও চোখে পানি আসার মতো সমস্যার জন্য দায়ী।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া/ ইন্ডিয়া ডট কম।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –