• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

প্রসাধনী নয়, হেলদি গ্লো পেতে নজর দিন খাবারে 

প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২১  

শীত মানেই চারিদিকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন। সে সব অনুষ্ঠানে সাজের প্রসঙ্গ এসেই যায়। কিন্তু যতই মেকআপ করুন না কেন, স্কিন ভেতর থেকে ভালো না হলে বাইরে এ ছাপ বোঝা যাবেই। প্রতিদিন কিছু খাবারে অভ্যস্ত হলে শরীর ও মন যেমন ভালো থাকবে তেমনি ত্বকও সুন্দর দেখাবে।

জীবনে ব্যালেন্স ডায়েট রাখাটা খুব প্রয়োজন। তার সঙ্গে অবশ্যই প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম, শরীরচর্চা, এবং স্ট্রেস আয়ত্বে রাখা। সুন্দর ত্বকের জন্য পরিমাণমতো বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। আর এমন খাদ্য খেতে হবে, যাতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খাকে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শুধু সুস্থ রাখে এমনটা নয়, এটি ডিএনএ কোষকে সুরক্ষিত রাখে। পাশাপাশি ক্যানসার প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে দীর্ঘদিন লাবণ্যময়ী থাকতে সাহায্য করে।

প্রতিদিন মানুষের শরীরে যে পরিমাণ দূষণ জমা হয়, সেটা থেকে নানা ধরনের ক্ষয় হতে থাকে। মনে রাখবেন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। বরং বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। তাই গ্লোয়িং স্কিনের ইচ্ছে থাকলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে এমন সব খাবার খেতে হবে।

নিরামিষভোজীদের ত্বক অনেক বেশি আমিষভোজীদের ত্বক থেকে কোমল ও সন্দর থাকে। এর অন্যতম কারণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। সব ধরনের তাজা ফল ও সবজিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এ ছাড়া বিটা ক্যারোটিন ‘সি’ আর ভিটামিন ‘ই’-সমৃদ্ধ খাবার অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভালো উৎস। অন্যদিকে ওমেগা থ্রি স্কিনের জন্য বেশ উপকারী।

এটি ইউভি রশ্মির প্রকোপ থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয়। ধূমপান এবং মদ্যপানের ক্ষতি থেকে যেমন এটি সাহায্য করে তেমনি স্কিনের ট্যান, রিংকেলস থেকেও ত্বককে বাঁচিয়ে রাখে। সেজন্য ওয়াল নাট, ফ্যাটি মাছ, চিয়া বীজ খেতে পারেন। এর পাশাপাশি ভিটামিন-ই স্কিনের জৌলুস ফেরাতে ভীষণ কাজ দেয়।

এছাড়া ডিজিটাল ডিভাইসের দিকে তাকিয়ে থাকার জন্য ইউভিএ রশ্মির দ্রুত ত্বকের উপরিভাগ দুর্বল করে কোলাজেনের গঠন ভেঙে ফেলে। এর জন্য অল্প বয়সে ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। অনিদ্রার জন্যও সমানভাবে দায়ী করা যায় এই রশ্মিকে। ঘুম কম হওয়ার জন্য ত্বকের লাবণ্য কমে, বাড়ে ব্রণ, সঙ্গে যোগ হয় চোখের কোণের কালচে ছোপ। এর থেকে নিজেকে বাঁচাতে প্রচুর পানি পান করুন।  খাদ্যতালিকায় রাখুন অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি। নিম, আমলকী এবং আমন্ড এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।

এদিকে স্কিনের ইমিউন সিস্টেম কমে যাওয়াতেও কিন্তু ত্বকের ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে যায়। তাই ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খেতেই পারেন। সেদ্ধ পালং শাক, মিষ্টি আলু, গাজর এগুলো খেলে ত্বকের হারানো ঔজ্জ্বল্য ফিরে পাবেন। তার সঙ্গে বাড়বে স্কিনের ইমিউনিটিও। রান্নাতে হলুদ, গোলমরিচ বাদ দেবেন না। এই দুটি আপনার ত্বকের নানান পরিসরে দারুণ কাজ দেবে। অনিয়ন্ত্রিত ও বেহিসাবি খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে প্রতিদিনের চাপ, দুশ্চিন্তা, ধূমপান, মদ্যপান এগুলো বাদ দিতে হবে। আর সব সময় মনকে প্রফুল্ল রাখতে হবে। কারণ ভগ্ন মন শরীরে প্রভাব ফেলে। সেজন্য হেলদি গ্লা পেতে শুধু প্রসাধনী নয়, খাবারেও নজর রাখাটা খুব দরকার।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –