• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

রমজানে কর্মজীবী নারীর ব্যস্ততা   

প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০২২  

বছরজুড়ে কর্মজীবী নারীর ব্যস্ততা লেগেই থাকে। আর রমজানে তো কমবোশি সব গৃহিণীদেরই রুটিন কিছুটা হলেও ওলটপালট হয়ে যায়। সে গৃহিণীরা যদি হোন কর্মজীবী, তাহলে রোজাতে তাদের কাজের চাপ বেড়ে যায় অনেকখানি। 

সকালে ঘুম থেকে উঠে তাড়াহুড়া করে অফিস যেতে হয়। দ্রুত অফিস যাওয়ার পরিকল্পনা করলেও জ্যাম ঠিকই রাস্তায় বসিয়ে রাখে অন্তত এক থেকে দেড় ঘণ্টা। এ সময়টাতে কারও কারও ঝিমুনি চলে আসে। কারণ রোজায় রাতের ঘুমটা ঠিকঠাক হয় না। প্রতিদিন জ্যাম ঠেলে অফিস এসে যন্ত্রের মতো কাজ শেষ করে আবার ফেরার পথে জ্যামের দাদাগিরি দেখত হয়। কখনো কখনো রাস্তার জ্যামে বাসায় পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়। ইফতার করতে হয় গাড়িতে বসেই। 

আবার যদিওবা জ্যাম কখনো দয়া করে বাসায় আসতে দেয় তখন ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত অবস্থাতেই দৌড়াতে হয় ইফতারি তৈরি করতে। ইফতারি তো শুধু তৈরি করলেই হলো না, সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হয় পরিবারের সবার পছন্দ-অপছন্দ। পাশাপাশি খাবারের পুষ্টিমান, বয়স্ক ও শিশুদের জন্য আলাদা কিছু করা, কারণ একই ইফতারে একঘেয়েমি চলে আসে রমজানের মাঝামাঝিতে। 

ইফতারের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে পরিবারের সদস্যদের জন্য সাহরির আয়োজন করতে হয়। কারণ সংসারের অন্য অনেক কাজ গৃহকর্মীর উপর ভরসা করা গেলেও রান্নাবান্নাটা নিজে করতেই পছন্দ করে অধিকাংশ নারী। তার উপর যদি বাজারসদাই করতে হয়, তাহলে রমজানে ক্রমাগত দাম চড়তে থাকা জিনিসপত্রের হিসাব মিলাতেই হিমশিম দশা হয় কর্মজীবী নারীদের। 

রোজার দিনগুলো একা হাতে অল্প কাজও অনেক বেশি মনে হয় কর্মজীবী নারীদের। তাই পরিবারের সবার সহযোগিতা থাকলে রমজানের ব্যস্ত দিনগুলোও তাদের জন্য হয়ে উঠতে পারে আনন্দময়। সব কাজ চাপিয়ে না দিয়ে বরং কাজ করে দেওয়ার জন্য হাতটি বাড়িয়ে দিন।

পরিবারের পুরুষ সদস্যরা কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরেই হোক কিংবা ঘরে থেকেই হোক, রান্নার কাজে, টেবিল সাজিয়ে ইফতারি পরিবেশনে, বাজারসদাই আর সাহরি-ইফতারের মেন্যু সামলানো— সবকিছুতে যতটুকু পারেন সহযোগিতা করুন। কাজ ভাগ করে প্রিয় মানুষটিকে খানিকটা বিশ্রাম দিন। সম্ভব হলে ছুটির দিনে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাইরে কোথাও ইফতার করুন। এতে ইফতারে একঘেয়েমি কাটবে পাশাপাশি কর্মজীবী নারী কিছুটা হলেও বিশ্রাম পাবেন, ছুটির দিনটি উপভোগ করতে পারবেন, যা পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করবে এবং তার কর্মস্পৃহা বাড়াবে পরের দিনগুলোর জন্য। 

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –