• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

ঈদ উৎসবে শাড়ি    

প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২২  

যেকোনো উৎসবে বাঙালি নারীদের সবচেয়ে পছন্দের পোশাক হলো শাড়ি। কারণ শাড়ির সাজে নারী অপরূপা, তুলনাহীনা। যান্ত্রিক জীবনে প্রতিদিনের স্বাচ্ছন্দ্যময় পোশাক হিসেবে শাড়ি বিদায় নিয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু ঈদে, উৎসব-পার্বণে নারীর কাছে শাড়ির আবেদন একটুকুও কমেনি বরং বেড়েছে দেশীয় শাড়ির প্রতি তাদের আগ্রহ। তাইতো ঈদে শাড়ির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে বাদ যান না তরুণী থেকে বৃদ্ধাও। 

পৃথিবীর ইতিহাসে বাঙালি এবং তার শাড়ি অনন্য এক স্থান অর্জন করে আছে। কারণ যে কয়টি জাতিগোষ্ঠী হাজার বছর ধরে তাদের প্রাচীন পোশাক এবং এর ঐতিহ্য ধরে রেখেছে, সেগুলোর মধ্যে শাড়ি অন্যতম। নব্বইতে শুরু হলেও মূলত শূন্য শতকের শুরুর দশকে আমাদের দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলো শাড়ির বুনন ও ডিজাইনে বৈচিত্র্য নিয়ে আসেন। ফ্যাশন ডিজাইনারদের নিপুণ শৈল্পিক দক্ষতায় শাড়ির রং এবং প্রচলিত আঙ্গিকে ব্যাপক পরিবর্তনও আসে।

ঈদে বৃষ্টি ও কাঠফাটা রোদ থাকবে বলে দিনের বেলায় সুতি শাড়িতে আরাম পাবেন। রাতের কোনো নিমন্ত্রণে সিল্ক, জর্জেট পরতে পারেন। এ সময়ের তরুণীরা ভারী কাজের শাড়ি পরতে পছন্দ করেন না। সুতির ওপর হালকা ছাপা কাজ, চিকন পাড়ের শাড়িই তাদের পছন্দ। যে নারীরা সব সময় শাড়ি পরেন, তারা ঈদের দিন সকালে ঘরে সুতিতেই স্বচ্ছন্দ্য বোধ করে থাকেন। আর রাতের জমকালো আয়োজনে পরতে পারেন সিল্ক ও মসলিনের ওপর করা ব্লক, স্ক্রিন প্রিন্টের শাড়ি।
ঈদে তাঁতের শাড়ির পাশাপাশি নারীদের পছন্দের তালিকায় আছে মসলিন, কটন ও সিল্ক। কালো ও সিলভার রং ছাড়াও নীল, সবুজ, মেরুন, লাল, ভায়োলেট, ল্যাভেন্ডার, চেরি রেড, অরেঞ্জ, হট ও কোরাল পিঙ্ক, ফিরোজা এবং সাদার ব্যবহার দেখা যচ্ছে এসব শাড়িতে। পোশাকের ডিজাইনে কাজের মাধ্যম হিসেবে আছে স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক প্রিন্ট, হাতের কাজ, এমব্রডারি, কারচুপি, অ্যাপ্লিক, দড়ি, লেইস, বিডস, ওয়াশ, হ্যান্ডপেইন্ট। সিল্কে টারসেল, এমব্রয়ডারি, কারচুপি ও সিকোয়েন্সের ব্যবহারও দেখা যাচ্ছে এবারের ঈদে। আর দেশীয় অনেক ফ্যাশন হাউজ সুতি শাড়িতে হাতের কাজ, মেশিন আবার কখনও দুটির মিশ্রণে শাড়িতে এনেছে বৈচিত্র্য। 

শাড়িতে মসলিনের কদর এবারের ঈদে বেড়েছে। এমব্রয়ডারি, পাড়ে বসানো বড় প্লিট, কখনো আর্টিফিশিয়াল ফেদার, কাটওয়ার্ক, পুঁতি ও জরির কাজ, অ্যাপ্লিকের ব্যবহার নজর কাড়ছে। কনট্রাস্ট ফ্যাব্রিকের শাড়িও কারও কারও পছন্দের তালিকায় রয়েছে। আছে অর্ধেক সিল্ক এবং অর্ধেক মসলিন শাড়ি। জর্জেটের শাড়িতে ফ্লোরাল প্রিন্ট, তার মধ্যে হালকা অ্যাম্বেলিশমেন্টের দেখা পাওয়া যাবে এবারের ঈদে। 

শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ মিলিয়ে পরার ক্ষেত্রে নারীদের বিশেষ আগ্রহ থাকে। শাড়ির সঠিক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে পারে মানানসই ব্লাউজ। বিভিন্ন বুটিকসে ভিন্ন কাটিংয়ে হাতে ও গলায় কাজ করা সেলাই ছাড়া ব্লাউজের কাপড় চাইলেই পাওয়া যাচ্ছে। আজকাল অনেক তরুণী ট্রেন্ডি লুক আনতে ট্র্যাডিশনাল ব্লাউজ দিয়ে শাড়ি পরেন না। ক্রপটড, শার্ট, টপ, টি-শার্টকে শাড়ির সঙ্গী করে নিচ্ছেন তারা। তবে এলিগ্যান্ট লুক আনতে রাতের পার্টিতে শাড়ির সঙ্গে পরতে পারেন জ্যাকেট। গরমের জন্য যারা জ্যাকেটকে এড়িয়ে যেতে চান, তারা বেল্ট ব্যবহার করতে পারেন, সঙ্গে রাখতে পারেন বিভিন্ন রকমের বাকলস। 

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –