• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

প্রথমবারের মতো তেঁতুলিয়ায় চাষ হচ্ছে তেলবীজ ফসল ‘পেরিলা’ 

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২১  

    
সূর্যমুখী ও সরিষার মতো ভোজ্য তেল উত্পন্ন হয় কোরিয়ান তেলবীজ ফসল ‘পেরিলা’ থেকে। সেই পেরিলা চাষ হচ্ছে এখন তেঁতুলিয়ায়। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের হারাদীঘি কাজীপাড়া গ্রামে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে দুই একর জমিতে পেরিলা চাষ করছেন সৈয়দ রোকনুজ্জামান। পেরিলা মূলত চীনের ফসল। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ায় এর ব্যাপক বিস্তৃতির কারণে বিশ্বে এটি কোরিয়ান পেরিলা নামে পরিচিত। এটি বন্যামুক্ত যে কোনো ধরনের জমি বা মাটিতে আবাদ করা যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কাজীপাড়া গ্রামে তরতাজা পেরিলা গাছে ফুল এসেছে। প্রথমত সবুজ পেরিলা দেখতে মনে হয়েছিল সবুজের এক সমারোহ কিংবা কোনো শাকসবজির বাগান। দেখতে অনেকটা পান পাতার মতো এবং প্রতিটি পাতা সবুজ বর্ণের।

কৃষক সৈয়দ রোকনুজ্জামান জানান, কৃষি অফিস থেকেই আমাকে বীজ দেওয়া হয়। জমিটি পতিত থাকায় সিদ্ধান্ত নিলাম নতুন ফসল চাষ করে দেখি কী হয়। তেঁতুলিয়ায় এই প্রথম আমি পেরিলা চাষ করছি। ফলনও মোটামোটি ভালো হয়েছে। এছাড়া পেরিলা খেতে মৌমাছির ব্যাপক আনাগোনা দেখা যায়। পেরিলা চাষের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষ করাও সম্ভব। ফলনে লাভজনক হলে আগামীতে আরো অধিক জমিতে পেরিলা ও মধু চাষ করব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত আউশ আবাদের পর কৃষকের জমিগুলো পতিত থাকে। এ সময়টাতে কেউ সরিষা আবাদ করে। যেহেতু এই ফসল আড়াই মাসে উঠে যায় তাই কৃষকদের জমি পতিত না রেখে পেরিলা আবাদ করলে ভালো একটি ফসল উঠে আসবে। ৭০-৭৫ দিনের মধ্যে এ ফসল ঘরে তোলা সম্ভব। সেই দিক থেকে একই জমিতে একাধিক ফসল করা যায়।

তিনি আরো জানান, পেরিলার পাতা সবজি ও বীজকে তেল উত্পাদনে কাজে লাগিয়ে দুইভাবে ব্যবহার করা যায়। পেরিলার ফুল এলে খেতে মৌমাছির ব্যাপক আনাগোনায় বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষেরও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে পেরিলা চাষের ব্যাপকতা বাড়াতে পারলে দেশের অর্থনৈতিক সেক্টর আরো সমৃদ্ধ হবে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –