• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

জন্মের পর পরই কিশোরীর ফুটফুটে ছেলে সন্তান নিখোঁজ

প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২২  

জন্মের পর পরই সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীর নবজাতক ফুটফুটে ছেলে সন্তান ৬ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুয়া ঠিকানা, স্বামী সাজিয়ে কিশোরীকে গর্ভপাত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে।  

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নিরাময় নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়গনেস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়েছে।
 
জানা যায়, গত ১৩ এপ্রিল দুপুরে মনোয়ারা নামে এক নারী ওই কিশোরীকে ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। সঙ্গে একটি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট নিয়ে ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ক্লিনিকে ভর্তির এক ঘণ্টা পর কিশোরীকে অস্ত্রোপ্রচার করানো হয়। অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. আনোয়ার হোসেন এবং ডা. উত্তম কুমার অস্ত্রোপ্রচারটি পরিচালনা করেন। ওই দিনই নিখোঁজ হয় নবজাতক শিশু।

কিশোরী জানান, চারদিন ধরে ক্লিনিকে নেই শিশুটি। সে প্রতারিত হয়েছে তার স্বামীর কাছে। বাড়ি থেকেও বিয়ে মেনে নেয়নি। প্রেম করে বিয়ে করার কারণে বাবা ও মা বর্তমানে কেউ তার পাশে নেই। নবজাতক শিশুটি সে দান করে দিতে চেয়েছিল, কিন্ত অসুস্থতার কারণে শিশুটির চিকিৎসার জন্য রংপুরে নেয়ার কথা ছিল।

গুঞ্জন রয়েছে ক্লিনিক থেকে শিশুটি কোনো চক্রের কাছে বিক্রি হয়েছে। এই ক্লিনিকে মাঝে মাঝে নানা দুর্ঘটনা ঘটে। কিছুদিন আগেও একই হাসপাতালে একটি শিশু মারা যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আরও অভিযোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সার্বক্ষণিক চিকিৎসক নেই ক্লিনিকটিতে। অখ্যাত চিকিৎসক দিয়ে অপারেশন করা হয়। নার্সরাও সঠিক সেবা দিতে ব্যর্থ হয়।

স্থানীয় সাংবাদিকরা ক্লিনিকে হাজির হলে ক্লিনিকের মালিক উজ্জল সরকার কিশোরীর কথা বলতে বাধা দেন।  

উজ্জল সরকার জানান, শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য আপ্রাণ চেস্টা চলছে। মনোয়ারা নামে নারীকে খুঁজছে তার লোকজন। মনোয়ারার খোঁজ পেলে শিশুটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে। 

কিশোরী স্বামীর নাম স্মরণ। জামালপুরে মাদারগঞ্জ এলাকায় তার বাড়ি। গর্ভে বাচ্চার বিষয়টি পরিবার এবং প্রতিবেশীরা মেনে নেয়নি। তার অজান্তেই ক্লিনিকে ভর্তির সময় স্বামী ও ঠিকানা ভুল লিখে দেওয়া হয়েছিল।

কিশোরী বলেন, ‘আমার ছেলেকে ফিরে পেতে চাই। কারণ চারদিন ধরে শিশুটি তার কোলে নেই। আমার সেই মনোয়ারা খালা আমার সন্তানকে নিয়ে যেতে পারেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিনা। এই মুহূর্তে আমার পাশে কেউ নেই।’ 

বোদা থানার ওসি জানান, রোববার সন্ধ্যায় ক্লিনিক থেকে শিশু হারিয়ে যাওয়ার খবর শুনেছি। পরে পুলিশ গিয়ে কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা শুরু হয়েছে। ক্লিনিকের মালিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিশোরীকে ছাড়পত্র দেওয়ার আগে শিশুটি উদ্ধার করবেন। উদ্ধার হলে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করে ছাড়পত্র দিবেন।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –