• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে সিলিং ফ্যান সংকট

প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২২  

গত কয়েক দিনের গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের অবস্থা আরও ভয়াবহ।হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে সিলিং ফ্যান সংকট থাকায় গরমে রোগীদের ভোগান্তি বেড়েছে কয়েক গুণ।

শনিবার রাতে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, মেডিসিন ওয়ার্ডে (পুরুষ) পাঁচটি সিলিং ফ্যানের চারটিই নেই। একটি ঝুলে আছে, তাও অকেজো। অথচ পুরো ওয়ার্ডে ১০টি সিলিং ফ্যান থাকার কথা। ফলে সিলিং ফ্যান বঞ্চিত রোগীদের অনেকেই ব্যবহার করছেন টেবিল ফ্যান, আবার কারও ভরসা হাতপাখা।

কথা হয় পেটের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে (পুরুষ) ভর্তি হওয়া রাসেল মিয়ার (৩০) সঙ্গে। তিনি বলেন, পেটের ব্যথার চেয়েও বেশি অসহনীয় গরমের যন্ত্রণা। অথচ আমার বেডের ওপর সিলিং ফ্যান নেই। সারা দিন ছটফট করে পার করেছি। উপায় না দেখে বিকেলে বাড়ি থেকে টেবিল ফ্যান আনিয়েছি।

একই কথা বলেন অন্যান্য রোগী এবং তাদের স্বজনরা। হাসপাতালটি নামে আধুনিক হলেও সেবার মান নিয়ে বিস্তর অভিযোগ তাদের।

একই অবস্থা অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোতেও। মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ৮টি ফ্যানের মধ্যে রয়েছে ৫টি, মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ৬টির মধ্যে নেই একটি এবং শিশু ওয়ার্ডে ১০টির মধ্যে দেখা মিলেছে ৭টি। তবে পুরো হাসপাতালে ৪৯টি সিলিং ফ্যান সংকট রয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ রোগীর মাথার ওপরে ছোট একটি ফ্যান ঘুরছে। পাশেই বসে রয়েছেন তার স্বজনেরা। কিন্তু বাতাস যেন সীমাবদ্ধ। 

রোগীর ছেলে মিনহাজ উদ্দীন বলেন, সিলিং ফ্যান না থাকায় অসহনীয় গরমে আমার বাবা আরও বেশি অস্বস্তিবোধ করছিলেন। তাই বাধ্য হয়ে বাজার থেকে ছোট এই ফ্যানটি কিনে এনেছি।

তেঁতুলিয়ার দেবনগর এলাকার আব্দুল আজিজ তার ৫ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে চার দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের শিশু ওয়ার্ডের ৩ নম্বর বেড দেওয়া হইছিল। কিন্তু বেডের ওপরে সিলিং ফ্যান নেই। ফলে এই গরমে খুব ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. কাওসার আহমেদ সিলিং ফ্যান সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মাঝখানে বজ্রপাতে অনেকগুলো সিলিং ফ্যান নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে না থাকায় আমরা গণপূর্ত বিভাগকে লিখিত আকারে জানিয়েছি এবং ৪৯টি ফ্যানের চাহিদা দিয়েছি। আমরা তাদের প্রতিনিয়ত বলছি, ফ্যানগুলো খুব দ্রুত প্রয়োজন।

তবে চাহিদার বিষয়টি জানেন না পঞ্চগড় গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান সরকার। তিনি বলেন, ইতোপূর্বে বজ্রপাতে নষ্ট হওয়া ৫০-৬০টি সিলিং ফ্যান এবং ২০০-২৫০টি লাইট রিপ্লেস করে দিয়েছি। সাম্প্রতিক চাহিদার বিষয়ে তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে কিছু বলেনি। তারপরও আমি খুব দ্রুতই খোঁজ নেব। 

তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে সবগুলো হয়তো রিপ্লেস করা সম্ভব হবে না। কারণ আমাদের অর্থবছর শেষ হয়ে গেছ। নতুন অর্থবছর চলছে। যেগুলো রিপ্লেস না করলেই নয়, সেগুলো দ্রুত রিপ্লেস করে দেব এবং বাকিগুলো এ বছরই বরাদ্দ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –