• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

তারেককে বাদ দিয়ে দল গোছাতে খালেদার মত

প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২১  

লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে দল গুছিয়ে সামনের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।  

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন রাত সাড়ে ৮টায় খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসা ফিরোজায় যান দলের সিনিয়র নেতারা। সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় অতিবাহিত করেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক সিনিয়র নেতা ফিরোজা থেকে ফিরে বলেন, ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আপনারা দলকে জনবিচ্ছিন্ন করে ফেলছেন। আপনাদের নিজেদের মধ্যে সমন্বয় নেই’। তখন তারেক রহমানের প্রসঙ্গটি আসলে সব নেতাই বলেন, ‘আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক সাহেবের কথা মতোই কাজ করছি’। এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিদেশে বসে রাজনীতি করা যায় না। ওকে বাদ রেখেই দল গোছান, যেন সামনের নির্বাচনে ভালো কিছু হয়’।

তিনি আরো বলেন, ম্যাডাম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন- ‘আমি ৭৫ বছর বয়সে জেল খাটতে পারি। রাজনীতির জন্যই তো আমার জেলে থাকা। রাজনীতি না করলে তো আমার এই পরিণতি হয় না। আমার ছেলে শুধু রাজনীতি থেকে ফায়দা লুটতে চায়, কষ্ট ভোগ করতে চায় না’।

প্রায় এক বছর পর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও বেগম সেলিমা রহমানসহ দলের সিনিয়র নেতারা। আরো উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবীর খান।

এদিকে বিএনপির রাজনীতি থেকে খালেদা জিয়া এখনই দূরে সরে যেতে চাইছেন না। শারীরিকভাবে ফিট থাকলে যতটুকু সম্ভব তিনি যুক্ত থাকতে চান বলে জানিয়েছেন বিএনপির একটি বিশ্বস্ত সূত্র। অসুস্থ হলেও খালেদা জিয়াকে ‘ঐক্যের প্রতীক’ হিসেবে মানেন দলের নেতাকর্মীরা।

এদিকে গত তিনটি নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত ফল ঘরে তুলতে না পারার কারণ ও বৈশ্বিক বাস্তবতায় সুধী সমাজের মধ্যেও একই ধরনের আলোচনা নতুন করে ছড়িয়েছে।

দলের একটি অংশের পাশাপাশি সুধী সমাজের কেউ বলছেন, দলকে সামনের দিকে টেনে নেয়ার মতো শারীরিক সক্ষমতা আর খালেদা জিয়ার নেই। সাজা স্থগিত করে নির্বাহী আদেশে কারামুক্তির কারণে তার পক্ষে রাজনীতিতে সরব হওয়াও সম্ভব নয়। তাই তারা তারেক রহমানের নেতৃত্বেই দল পরিচালনার পক্ষপাতী।

আবার কারো মতে, বর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতায় তারেক রহমানকে সামনে নিয়ে এগোলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন পাওয়া কঠিন হবে। দেশের অভ্যন্তরেও সমর্থন পাওয়া যাবে না। ফলে অসুস্থ হলেও খালেদা জিয়াকেই এখনো পর্যন্ত ক্ষমতাসীন সরকার বিরোধী শক্তির সবচেয়ে বড় প্রতীক বলে মনে করেন তারা।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –