• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির বেহাল দশা   

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২১  

দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা, খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়তা, তারেক জিয়ার লন্ডনে অবস্থান করা এবং দলীয় নেতাকর্মীদের বিশৃঙ্খলার কারণে বর্তমানে মৃতপ্রায় বিএনপি। এছাড়া দলের সিনিয়র নেতাদের মৃত্যু ও বার্ধক্যজনিত কারণে দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকায় দলের অবস্থা একেবারেই নাজুক হয়ে পড়েছে।

এ পরিস্থিতিতে নতুন করে আলোচনায় এসেছে বিএনটির জাতীয় স্থায়ী কমিটি। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী এ ফোরাম নিয়মিত ভার্চুয়াল বৈঠক করলেও বাস্তবে কার্যকর তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। 

১৯ সদস্যের এ কমিটির পাঁচটি পদই শূন্য। এদের মধ্যে দলের দুই প্রয়াত নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও তরিকুল ইসলামের পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া দলের আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান দলীয় কার্যক্রম থেকে বাইরে আছেন।

এছাড়া ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বয়সের ভারে সেভাবে সক্রিয় হতে পারছেন না। এর বাইরে শারীরিক অসুস্থতা ও বিদেশে অবস্থান করায় সব সময়ই চারজন থাকেন অনুপস্থিত। এতে করে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যুতে কর্মসূচি গ্রহণে সময়মতো সিদ্ধান্ত নিতে নীতিনির্ধারকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। 

শুধু তাই নয়, সাংগঠনিক তৎপরতা পরিচালনায় কেন্দ্রীয় দিকনির্দেশনা প্রদানেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।

বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা বলেন, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরও মাঠে থাকতে হবে। তবে তাদের যদি শারীরিক সক্ষমতা না থাকে, তাহলে তাদের কাছ থেকে দল কী আশা করতে পারে। এমনিতেই আমরা বিরোধী দলে আছি, তার ওপর যদি সর্বোচ্চ সাংগঠনিক সদস্যদের এ দশা হয়, তাহলে দলের রাজনীতিতে কোনো সফলতা আনা অসম্ভব।

বিএনপি ঘরানার একজন বুদ্ধিজীবী বলেন, স্থায়ী কমিটিতে এখন তরুণদের স্থান দেওয়ার সময় এসেছে। প্রবীণ এবং বয়সের ভারে যারা চলতে পারেন না তাদের দিয়ে কিভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলন বেগবান করা সম্ভব? আর এ বিষয়টি দলের সিনিয়র নেতাদের এখনই বুঝতে হবে। অন্যথায় দলের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। 

এসব প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের যদি এ অবস্থা হয়, তাহলে সেই দলের ভবিষ্যৎ গভীর সংকটের। যেহেতু দলীয় প্রধানরা দূরে অবস্থান করছেন, তাই জাতীয় স্থায়ী কমিটিকে আরো বেশি সক্রিয় করার দরকার ছিল। কিন্তু ঘটেছে ঠিক তার উল্টো। এক্ষেত্রে দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি স্থায়ী কমিটিতে তরুণ নেতৃত্ব কিংবা শূন্যস্থান পূরণ না করা হয়, তাহলে বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো সামনের দিনগুলোতে একেবারে ভেঙে যাবে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –