• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

মানুষের মুক্তির দূত হয়ে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা: নানক

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২২  

জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে খুনিদের অভয়ারণ্য হিসেবে সৃষ্ট বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির দূত হয়ে দেশের মাটিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ফিরেছিলেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। বুধবার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে যখন বাংলাদেশ খুনিদের এক অভয়ারণ্য সৃষ্টি হয়েছিল ঠিক তখনই মানুষের মুক্তির দূত হয়ে দেশের মাটিতে পদার্পণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

তিনি আরো বলেন, কী অপরাধে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল? সেই সময় শেখ হাসিনা চিৎকার করে কাঁদতেও পারেননি। কারণ একদিকে খুনি মোস্তাক ও জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে খুনিদের এক অভয়ারণ্য সৃষ্টি হয়েছিল। অন্যদিকে, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী গোলাম আযম এবং কাদের মোল্লাদের গুম, খুনের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ। জিয়াউর রহমান সেদিনও শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে আসতে বাধা দিয়েছিল। কিন্তু সাহসী নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমি দেশে ফিরে যাবোই, মৃত্যু যদি হয়, বাংলাদেশের মাটিতেই আমার মৃত্যু হবে।’

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন,১৯৮১ সালের ১৭ মে ঠিক বিকেল সাড়ে ৪টায় বাংলা এবং বাঙালি জাতির মুক্তির আলোকবর্তিকা নিয়ে দেশের মাটিতে শুভ পদার্পণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সেদিন ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে দেশে ফিরে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি মা-বাবা-ভাই-বোন সব হারিয়েছি, আপনারাই আমার আপনজন। আমি এসেছি, পিতা হত্যার বিচার চাইতে। আমি এসেছি, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। এজন্য যদি আমার মৃত্যু হয়, আমি সেই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে নেব।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –