• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারো মনোনয়ন বাণিজ্যে তারেক

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২২  

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারো মনোনয়ন বাণিজ্যে তারেক          
নিজেদের দাবি-দাওয়া পূরণ না হলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে সাফ জানিয়েছিল বিএনপি। তবে দলটির বাইরে এক রূপ তো ভেতরে আরেক। তাইতো লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান এরই মধ্যে শুরু করেছেন মনোনয়ন বাণিজ্য।

বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, প্রতিবারের মতো এবারও গুরুত্বভেদে ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছেন তারেক রহমান। আর এ কাজে তারেককে সহযোগিতা করছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

আরো জানা গেছে, আসন প্রতি অন্তত পাঁচজন করে প্রার্থীর নামের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে রিজভীকে। আর বাছাই লিস্টে এগিয়ে থাকতে বিএনপির তারেকপন্থী নেতারা টাকা নিয়ে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন।

পরিচয় গোপন রেখে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা জানান, প্রতিবারই নির্বাচনের আগে মোটা অংকের টাকা বাগিয়ে নেন তারেক রহমান। এবারো তা শুরু করেছেন। আর এ কারণে দলকে বার বার সমস্যায় পড়তে হয়। তারেক রহমানের কাছে বিএনপি মানে টাকা কামানোর মেশিন।

বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, গত নির্বাচনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করেন তারেক রহমান। যদিও স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে একটি মনোনয়ন বোর্ড গঠিত হয়েছিল, কিন্তু সেই বোর্ডের ক্ষমতা ছিল খুবই সামান্য। তারা শুধু লন্ডন থেকে পাঠানো নামগুলো ঘোষণা করেছিলেন। আর এই মনোনয়ন নিয়ে দলে ভয়াবহ কাণ্ড ঘটে যায়। বিএনপির অন্তত ১৭৩টি আসনে দুই থেকে তিন জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে পরবর্তীতে বিএনপির মধ্যেই গৃহদাহ তৈরি হয়। 

এসব কারণেই নির্বাচনে ভরাডুবি হয় বিএনপির। তারা আরো মনে করেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির পরাজয়ের বড় কারণ ছিল তারেকের মনোনয়ন বাণিজ্য।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –