• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

লন্ডনে হাওয়া ভবন-২ গড়ে তুলেছেন তারেক

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২২  

লন্ডনে হাওয়া ভবন-২ গড়ে তুলেছেন তারেক                     
দুর্নীতি, অর্থ পাচার, গ্রেনেড হামলা, হত্যাসহ কয়েকটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে পালিয়ে আছেন। কোনো চাকরি বা ব্যবসা ছাড়া কিভাবে তিনি বিলাসী জীবনযাপন করছেন? এ প্রশ্ন অনেকেরই।

বিএনপির কোনো নেতা লন্ডনে তারেক রহমান ও তার পরিবারের বিলাসী জীবন ও আয়ের উৎস সম্পর্কে কিছু বলতে চান না। অনেকের ধারণা লন্ডনে বসে বাংলাদেশে বিএনপি নেতাদের দিয়ে চাঁদাবাজি করান তারেক। সেই টাকায় লন্ডনে আরাম-আয়েশে বসবাস করছেন।

সম্প্রতি জানা গেছে আরেকটি গোপন তথ্য। তারেক রহমান ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি আব্দুল মালেক ওরফে ভোঁতা মালেক লন্ডনে গড়ে তুলেছেন বিশাল মাফিয়া সিন্ডিকেট। অনেকেই যার নাম দিয়েছেন হাওয়া ভবন-২। এই তারেক-মালেক গং মূলত লন্ডন থেকে বাংলাদেশে বিএনপির রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে।

সূত্র জানায়, ২০০১ সালে ক্ষমতায় হাওয়া ভবন কেন্দ্রিক সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি ছিল বাংলাদেশের মানুষ ও প্রশাসন। তখন হাওয়া ভবনই ছিল প্রশাসনের চালক। এবার সেই পুরনো কায়দায় যুক্তরাজ্যেও হাওয়া ভবন-২ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন তারেক রহমান। যারা দেশে বড় অংকের চাঁদা দিয়ে বিএনপির পদ-পদবি কিনতে পারেন তাদের নামই হাওয়া ভবন-২ এর গুডবুকে লেখা থাকে। তারাই হয়ে ওঠেন বিএনপির নিয়ন্ত্রক ও নীতি নির্ধারক।

আরো জানা গেছে, তারেকের হাওয়া ভবন-২ সিন্ডিকেটের হয়ে কাজ করছেন পুরনো হাওয়া ভবনের অনেক সদস্য। তারা বিএনপির বিভিন্ন কমিটি গঠন ও নির্বাচন নিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। এসব কমিটি ও মনোনয়ন বাণিজ্য থেকে আসা মোটা অংকের টাকা তারেক রহমানের কাছে পাঠান এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা। সেই টাকায় লন্ডনে পরিবার জনিয়ে বিলাসী জীবনযাপন চালিয়ে যাচ্ছেন তারেক রহমান।

গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি আব্দুল মালেক ওরফে ভোঁতা মালেকের বাড়ি বাংলাদেশের সিলেটে। ভোঁতা মালেক নিজ জেলা সিলেটেও সিন্ডিকেট বাণিজ্য চালিয়েছেন। পদ দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকেই নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। বছর খানেক আগে টাকা দিয়েও পদ না পাওয়ায় সিলেটে ভোঁতা মালেকের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিলেন ভুক্তভোগীরা। পরে হাওয়া ভবন-২ সিন্ডিকেটের হস্তক্ষেপে রক্ষা পায় মালেকের পরিবার। এছাড়া লন্ডনে তারেক রহমান শুধু ক্যাসিনোতে জুয়া খেলে ও মদ খেয়ে সময় কাটা। আর সবকিছু সামাল দেন ভোঁতা মালেক।

এদিকে, টাকা দিয়েও পদ না পেয়ে বিএনপি ছেড়েছেন অনেকেই। তারা বলেন- বিএনপির নেতাকর্মীদের রাজনীতির মাঠে থাকতে হয় না। ‘তারেক ভাইয়ার’ সিন্ডিকেটকে ম্যানেজ করলেই চলে। আর সিন্ডিকেটের সুনজরে না থাকলে রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের শিকার হতে হয়। ঘরে মাদক রেখে ফাঁসানো, হামলাসহ নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। বিএনপির সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাসও রক্ষা পাননি তারেক-মালেক সিন্ডিকেটের গ্রুপিং থেকে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, তারেক রহমান এখন চাঁদাবাজি নিয়ে ব্যস্ত। দল ও দেশের জনগণ নিয়ে তার কোনো মাথাব্যথা নেই। অরাজনৈতিক ও কালো টাকার মালিকদের বিএনপিতে পদ-পদবি দিয়ে নিজ হাতে দলকে শেষ করেছেন তারেক। আর নিজে লন্ডনে বসে চাঁদাবাজির টাকায় বিলাসী জীবনযাপন করছেন। ফলে বিএনপি বারবার আন্দোলন-সমাবেশ করেও জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারছে না।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –