• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২  

বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া                               
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারিমে এরশাদ করেন, ‘তারই ভয়ে তার প্রশংসা পাঠ করে বজ্রনাদ ও ফেরেশতাগণ। তিনি বজ্রপাত ঘটান, অতঃপর যাকে ইচ্ছা তাকে তা দ্বারা আঘাত করেন; তথাপি তারা আল্লাহ সম্পর্কে বিতণ্ডা করে, অথচ তিনি মহাশক্তিশালী।’ সুরা রাদ, আয়াত :১৩।

আকাশ মেঘাচ্ছন্ন আর রহমতের বৃষ্টির মধ্যে বজ্রপাতে বিভিন্ন সময়ে মানুষের হৃদয় ভয়ে কম্পিত হয়। অনেক সময় মানুষের প্রাণ পর্যন্ত বিপন্ন হয়। এজন্যই যখন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয় কিংবা ঝড়-বাতাস দেখা দেয়, তখন মহানবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোয়া পড়তেন।

‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা-ফিহা ওয়া খাইরা মা-উরসিলাত বিহি, ওয়া আউজুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা-ফিহা ওয়া শাররি মা-উরসিলাত বিহি।’ 

অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এই বৃষ্টির মাধ্যমে পাঠানো সমূহ কল্যাণ প্রার্থনা করছি, আর এই বৃষ্টির মাধ্যমে পাঠানো সমূহ বিপদাপদ থেকে পরিত্রাণ চাই।’ 

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন বজ্রের আওয়াজ শুনতেন, তখন এই দোয়া পড়তেন, ‘আল্লাহুম্মা লা-তাক্বতুলনা বিগাজাবিকা ওয়া লা-তুহলিকনা বিআজা-বিকা ওয়া আ-ফিনা-ক্ববলা জা-লিকা।’ 

অর্থাৎ, হে আল্লাহ, আপনি আমাকে আপনার গজব দিয়ে হত্যা করে দেবেন না এবং আপনার আজাব দিয়ে ধ্বংস করে দেবেন না। এসবের আগেই আপনি আমাকে পরিত্রাণ দিন (তিরমিজি)। 

এছাড়া বজ্রপাতের শব্দ শুনে, ‘সুবহানাল্লাজি ইয়ুসাব্বিহুর রা’অদু বিহামদিহি।’ কিংবা ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করলে মহান আল্লাহ বজ্রপাত থেকে রক্ষা করবেন ইনশাআল্লাহ।

ঝড়-তুফান ও বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে শয়তানের ওয়াসওয়াসা বা প্রতারণা থেকে বাঁচার জন্য ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ অর্থ, মহান আল্লাহর সাহায্য ও সহায়তা ছাড়া আর কোনো আশ্রয় ও সাহায্য নেই’ পাঠ করতে হবে। 

আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও বজ্রপাতের সময় কোরআন তিলাওয়াত, তাসবিহ, অতিরিক্ত তওবা ও প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দরুদ পাঠ করা। 

হজরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের প্রবল পরাক্রমশালী প্রভু বলেছেন, যদি আমার বান্দারা আমার বিধান মেনে চলত, তবে আমি তাদের রাতের বেলায় বৃষ্টি দিতাম, সকালে সূর্য দিতাম এবং কখনো তাদের বজ্রপাতের আওয়াজ শুনতাম না। (মুসনাদে আহমদ)।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –