• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

ইফতারের মাসআলা-মাসায়েল

প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২৩  

ইফতার রোজার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাত। রোজাদার সূর্যাস্তের পর পানাহারের মাধ্যমে রোজা ভাঙে; তার এই পানাহারকে ইফতার বলা হয়।

রমজানের বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে আল্লাহ বান্দার দোয়া কবুল করেন এবং পাপ মার্জনা করেন। যেমন- ইফতারের আগমুহূর্ত। এই সময়গুলোতে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি প্রার্থনা করা এবং অতীত পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা আবশ্যক।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না- ন্যায়পরায়ণ শাসক, রোজাদার যতক্ষণ না সে ইফতার করে এবং অত্যাচারিত ব্যক্তির দোয়া।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৭৫২)

আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেন, ‘ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া প্রত্যাখ্যান করা হয় না।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৭৫৩)

যেহেতু প্রতিটি রোজাদারকে ইফতার করতে হয়, তাই রোজার ইফতারের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জেনে রাখলে রোজা পালন ও ইফতারের সুন্নাত আদায় সহজ হয়। নিম্নে পাঠকদের রমজানের ইফতারের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা উল্লেখ করা হলো।

> সূর্যাস্ত হয়ে যাওয়ার পর তাড়াতাড়ি ইফতার করা সুন্নাত। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৩)

> খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করা মুস্তাহাব। এরপর মিষ্টিজাতীয় কোনো কিছু খাওয়া এবং এরপর পানি দিয়ে। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৫)

> ইফতারের সময় নিম্নোক্ত দোয়া পড়া-

بسم الله اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু।

> ইফতারের পর নিম্নোক্ত দোয়া পড়া-

ذَهَبَ الظَّمَأُ، وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ

উচ্চারণ: জাহাবাজ্-জামাউ, ওয়াব্ তাল্লাতিল উরুকু, ওয়া ছাবাতাল আজরু, ইনশাআল্লাহু তাআলা।

> বৃষ্টির দিনে কিছু দেরি করে ইফতার করা উত্তম। (ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়াহ, খণ্ড : ৩, পৃষ্ঠা : ১০৮; মাসায়েল রমাজান, রাফয়াত কাছেমি : পৃষ্ঠা : ১৯৭)

> ইফতারের জন্য মাগরিবের নামাজ পাঁচ-ছয় মিনিট বিলম্বে আদায় করার অবকাশ রয়েছে। (রহিমিয়া : খণ্ড : ১, পৃষ্ঠা : ৩৭)

> যদি সূর্যাস্তে সন্দেহ হয়, তাহলে ইফতার করা হালাল হবে না। (নাওয়াজিল : পৃষ্ঠা : ১৫২; শামি, খণ্ড : ৩, পৃষ্ঠা : ৩৮৩)

> ‘লবণ দিয়ে ইফতার শুরু করা উত্তম’— এমন ধারণা করা ভুল। (আহকামে জিন্দেগি, পৃষ্ঠা : ২৪৭)

> পশ্চিম দিকে প্লেনে সফর করার কারণে যদি দিন বড় হয়ে যায়, তাহলে সুবহে সাদিক থেকে নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সূর্যাস্ত হলে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ইফতার বিলম্ব করতে হবে। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেও সূর্যাস্ত না হলে ২৪ ঘণ্টা পূর্ণ হওয়ার সামান্য কিছু আগে ইফতার করে নেবে। (আহসানুল ফাতাওয়া, খণ্ড : ৪, পৃষ্ঠা : ৭০)

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –