• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

সাকিবদের হারিয়ে আইপিএল শিরোপা চেন্নাইয়ের

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২১  

আইপিএল মানেই মহেন্দ্র সিং ধোনি ও চেন্নাইয়ের রাজত্ব। ম্যাচের তখনো দুই বল বাকি। তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হারটা স্পষ্ট হয়ে গেছে ততক্ষণে। স্বাভাবিকভাবেই তাই কলকাতা শিবিরে চোখেমুখে হতাশা, চেন্নাইয়ে উচ্ছ্বাস। কিন্তু একজন একদমই নির্লিপ্ত। তার 'হিসাব-নিকাশে' ব্যস্ত। মহেন্দ্র সিং ধোনি তো এমনই। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যক্তিত্ব জিতলেন নিজের চতুর্থ আইপিএল শিরোপা।

কত রোমাঞ্চকর ম্যাচের সাক্ষি হয়েছে এই টুর্নামেন্ট। ফাইনালে তেমন কিছু হলে মন্দ কী। ভেঙ্কাটেশ আয়ার ও শুভমন গিল যতক্ষণ ব্যাট করছিলেন; সেই আশা ছিলও। কিন্তু কলকাতার ইনিংস যত এগিয়েছে, ক্ষীণ হয়েছে তাদের ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা।

দুই ওপেনার ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানই যে দলের হাল ধরতে পারেননি। শেষ অবধি নিরুত্তাপ এক ফাইনালে ২৭ রানে জিতেছে চেন্নাই। ঘরে তুলেছে চতুর্থ আইপিএল শিরোপা।

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দুবাইয়ে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা। শুরুতে কিছুটা রয়েসয়ে খেললেও পরে ঝড় তুলেন চেন্নাই সুপার কিংস ব্যাটসম্যানরা। বিশেষত দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ফাফ ডু প্লেসিস। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৯ বলে ৮৬ রান করেন তিনি। অবশ্য ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাজঘরে ফিরতে পারতেন তিনি। সাকিব আল হাসানের বলের লাইন মিস করেছিলেন তিনি। কিন্তু স্টাম্পিং করার জন্য বল হাতেই রাখতে পারেননি কলকাতার উইকেটরক্ষক দিনেশ কার্তিক। শেষ অবধি ডু প্লেসিসই হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়।

৩ ছক্কায় রবিন উথাপ্পার ১৫ বলে ৩১ ও ২০ বলে মঈন আলীর ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে ১৯২ রানের সংগ্রহ পায় চেন্নাই। কলকাতার পক্ষে ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন সুনীল নারিন। ৩ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন সাকিব।

চেন্নাইকে জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল কলকাতার। ওপেনার শুভমন গিল কিছুটা ধীরে খেললেও ভেঙ্কাটেশ আয়ার ছিলেন দুর্দান্ত। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৩২ বলে ৫০ রান করে আউট হন আয়ার। তার বিদায়ে ভাঙে ৯১ রানের উদ্বোধনী জুটি। এর মধ্যে একবার আউট হয়েছিলেন গিল। তবে রাইডু ক্যাচ নেওয়ার আগেই বল ডেড হওয়ায় বেঁচে যান তিনি।

৪৩ বলে ৫১ রান করে ফেরেন গিল। তার বিদায়ের পরই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে কলকাতার ইনিংস। দুই ওপেনারের পর সর্বোচ্চ ২০ রান আসে দশ নম্বরে ব্যাট করতে নামা শিভাম মাভির ব্যাট থেকে। নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৬৫ রান করে কলকাতা।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –