• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

অতিরিক্ত মাংস খেলে হতে পারে মারাত্মক ১০ রোগ

প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২২  

অতিরিক্ত মাংস খেলে হতে পারে মারাত্মক ১০ রোগ                  
কোরবানি ঈদ মানেই ঘরে ঘরে মাংসের নানা রেসিপি। কিন্তু সুস্থ থাকতে পরিমিত মাংস খেতে হবে। অতিরিক্ত গরু বা খাসির মাংস খেলে ক্ষতিকর রোগবালাই এসে ভর করে শরীরের ওপর। চলুন জেনে নেওয়া যাক সে মারাত্মক রোগগুলো কেমন।  

কোষ্ঠকাঠিন্য ও কোলন ক্যান্সার 
অতিরিক্ত গরু বা খাসির মাংস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেই পরবর্তীতে আরও রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। সপ্তাহে যারা তিন বেলাতেই গরু, খাসি বা ভেড়ার মাংস খেয়ে থাকেন তাদের কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলতনায় শতকরা ১২ ভাগ বেশি।

লাল মাংস দিনের পর দিন খেলে ফুসফুস ক্যান্সার, খাদ্যনালীর ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার, মলাশয় ক্যান্সার ও অগ্নাশয় ক্যান্সার হতে পারে
উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ 
গরুর মাংসের অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টিতে এবং বাড়াতে সোডিয়ামের জুড়ি নেই। তাই অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে, যা পরবর্তীতে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। অন্যদিকে একটি গবেষণা বলছে, যারা নিয়মিত লাল মাংসে ভুরিভোজ করেন, তাদের মধ্যে ধূমপান, মদ্যপানসহ বিভিন্ন বদভ্যাস গড়ে ওঠে। আর এগুলো ধীরে ধীরে হৃদরোগ ও ক্যান্সারের দিকে নিয়ে যায়। 


কিডনি ও ক্যান্সার রোগের ঝুঁকি
বেশি বেশি মাংস খেলে এর মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রাও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। লাল মাংস দিনের পর দিন খেলে ফুসফুস ক্যান্সার, খাদ্যনালীর ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার, মলাশয় ক্যান্সার ও অগ্নাশয় ক্যান্সার হতে পারে। আর প্রক্রিয়াজাত লাল মাংসে কিন্তু মৃত্যুর ঝুঁকি আরো বেশি।

অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে, যা পরবর্তীতে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়
ডায়াবেটিস হতে পারে
হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ১ মিলিয়ন মানুষের ওপর একটি গবেষণা চালায়। এ গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ৫০ গ্রাম বা এর চেয়ে বেশি মাংস খান, তাদের হার্টের অসুখ হওয়ার ঝুঁকি থাকে অন্যদের তুলনায় ৪২% এবং ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ১৯%। আর ৪০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে বেশি মাংস খেলে হৃদরোগ ঝুঁকি ৩ গুণ বেশি থাকে। 

ওজন বাড়তে পারে
পশুর ওজন বৃদ্ধি ও রোগমুক্ত রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ও হরমোনাল ওষুধ খাওয়ানো হয়। যা মাংস খাওয়ার মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে মারাত্মক ক্ষতি করে। অল্প বয়সে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস বা স্পার্মের সংখ্যা কমে যেতে পারে। এগুলোর পাশপাশি ব্রেইনের কার্যক্ষমতা হ্রাস, স্মৃতিশক্তি হ্রাসসহ শরীরের ওজন বাড়তে পারে। অনেকেই মাংসজাতীয় খাবার খাওয়ার পরে হজম প্রক্রিয়া বাড়ানোর জন্য কোমলপানীয় পান করেন, যা উচিত নয়। এতে ওজন আরও বাড়তে পারে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –