• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

ই-সিগারেট নিষিদ্ধের চিন্তা করছে সরকার

প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০১৯  

সরকার ই-সিগারেট নিষিদ্ধের বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ‘ইমাজিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট (ই-সিগারেট, ভ্যাপিং): বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিত ও আমাদের করণীয়’শিরোনামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন শেখ ইউসুফ হারুন।

তিনি বলেন, ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার ও ক্ষয়ক্ষতি থেকে তরুণ ও যুব সমাজকে রক্ষা করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ই-সিগারেট, ভ্যাপিংসহ সব ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট উৎপাদন, আমদানি ও বিপণন নিষিদ্ধ করাই হবে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।

শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, দেশে ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টের ব্যবহার তরুণ এবং যুব সমাজের মধ্যে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য বিক্রয় কেন্দ্র। অনলাইন ও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ই-সিগারেট সামগ্রী বিক্রয় হচ্ছে।

এরইমধ্যে পার্শ্ববতী দেশ ভারত ই-সিগারেট নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এছাড়া শ্রীলংকা, নেপাল, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ ৩০টির অধিক দেশ এসব পণ্য নিষিদ্ধ করেছে। সুতরাং এই বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে কাজে লাগাতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তামাক নিয়ে তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদন ই-সিগারেটকে সুনিশ্চিতভাবে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার ৪৯ শতাংশই তরুণ, যাদের বয়স ২৪ বছর বা এর নিচে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট হিসেবে বিবেচিত এই তরুণ জনগোষ্ঠীকে সঠিক পথে পরিচালনার ওপরই বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত সমৃদ্ধি ও উন্নতি নির্ভর করছে। তামাকাসক্ত অসুস্থ তরুণ প্রজন্ম এসব লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করবেনা, বরং সমাজ ও অর্থনীতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়বে।

অনুষ্ঠান আরো বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, সাউথ এশিয়া প্রোগ্রামস, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস্, ইউএসএ-এর পরিচালক বন্দনা শাহ।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –