• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

ঈদে দীর্ঘযাত্রায় কীভাবে সুস্থ থাকবেন

প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০২২  

ঈদে দীর্ঘযাত্রায় কীভাবে সুস্থ থাকবেন                         
জীবন-জীবিকার তাগিদে ঢাকায় অনেক মানুষ আবাস গড়ে, যারা ঈদে বাড়ি ফিরে যায় আত্মীয়-পরিজনদের কাছে। তাদের কাছে ঈদে বাড়ি ফেরা যেন মুক্তি ও প্রশান্তির ছোঁয়া। কিন্তু বাসে, ট্রেনে, লঞ্চে এ সময়টাতে ভিড় বেশি থাকে। অতিরিক্ত ভাড়া যেমন গুণতে হয় তেমনই দুর্ভোগও যোগ হয় যাত্রা পথে। ঘণ্টর পর ঘণ্টা পথে থাকতে থাকতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই ঈদযাত্রায় কিছু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। 

ঈদযাত্রায় অপরিচিত স্থানে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন না। এতে ডায়রিয়া কিংবা অন্য কোনো পেটের অসুখ হতে পারে। আর বিশুদ্ধ পানি পান করবেন। নিরাপদ পানির জন্য ক্লোরিন ট্যাবলেট ব্যাগে রাখতে পারেন। 

অল্প দূরত্বের যাত্রায় চিপস, কেক, কুকিজ ও ফলমূল সঙ্গে নিতে পারেন। দীর্ঘ যাত্রায় বিস্কুট, ব্রেড, কেক, চিঁড়া, মুড়ি, ইনস্ট্যান্ট কফি, ইন্সট্যান্ট স্যুপ নুডলসের প্যাকেট সঙ্গে রাখলে খিদেতে কষ্ট হবে না।  তবে বাড়িতে রান্না করা খাবার না নেওয়াই ভালো, কারণ গরমে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ঈদযাত্রায় সেদ্ধ ডিম সঙ্গে রাখতে পারেন খাওয়ার জন্য।
হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস ও থাইরয়েডের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা অবশ্যই ঈদযাত্রায় সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখবেন। হৃদরোগ ও কিডনির সমস্যায় যারা ভুগছেন তারাও ব্যবহৃত ওষুধ সঙ্গে রাখবেন। 

যারা তেমন কোনো রাগে আক্রান্ত নন, তারা প্যারাসিটামল, অ্যান্টিহিস্টামিন, অ্যান্টাসিড, ওরস্যালাইন ইত্যাদি ওষুধ সঙ্গে রাখবেন। 

ঈদযাত্রায় গর্ভবতী মায়েদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। কারণ প্রথম ও শেষ তিন মাস ঝুঁকিহীন পরিবহনে যাত্রা খুব দরকার। এ ক্ষেত্রে ট্রেনের যাত্রা কিছুটা নিরাপদ মনে করা হয়। ভুলে গেলে চলবে না, প্রথম তিন মাসে অ্যাবরশনের ঝুঁকি এবং শেষ তিন মাসে প্রিম্যাচিউর লেবারের ঝুঁকি থাকে। 

যেহেতু এখন বর্ষাকাল তাই ভ্যাপসা গরম থেকে সুস্থ থাকতে ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে। বৃষ্টির দিনগুলোতে জিন্সের ব্যবহার বেশ সুবিধাজনক। বিশেষ করে, মেয়েদের পোশাকের ক্ষেত্রে সিনথেটিক কাপড় যেমন- শিফন, জর্জেট ব্যবহার করা উচিত যেন ভিজলেও বাতাসে সহজে শুকিয়ে যায়। 

শিশুদের সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণের সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন প্রয়োজন। শিশুর প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং তাকে নিয়মিত যে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান, তার মোবাইল নম্বর সঙ্গে রাখুন। যাতে প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করতে পারেন। শিশুর সব ধরনের ঝুঁকি এড়াতে আলাদা ব্যাগে করে কিছু কাপড়, ওয়াইপ্স, টিস্যু পেপার নিতে হবে এবং শিশুকে রোদ-বৃষ্টি, ধুলাবালি থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –