• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

কমিটি গঠন নিয়ে তারেক-ফখরুলের দ্বন্দ্ব চরমে

প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০২১  

অভ্যন্তরীণ কোন্দলে অচল হয়ে পড়েছে বিএনপির সব সাংগঠনিক কার্যক্রম। ফলে বিভিন্ন কমিটি পুনর্গঠন করার যে প্রক্রিয়া ছিল সে কার্যক্রমেও এসেছে স্থবিরতা।

দলের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে লন্ডনে পলাতক আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। আর এই দ্বন্দ্বের কারণেই স্থবিরতা দেখা দিয়েছে বিএনপির সব কার্যক্রমে।

জানা গেছে, মূলত কয়েকটি কমিটি গঠন করা নিয়ে শুরু হয় এই দ্বন্দ্ব। মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি থেকে শুরু করে অন্তত ১০টি জেলা বিএনপির কমিটি চূড়ান্ত হয়ে এসেছে লন্ডন থেকে। কিন্তু এই কমিটির ব্যাপারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপত্তি তুলেছেন। এমনকি ঐ সমস্ত কমিটি নিয়েও স্ব স্ব জেলায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বিএনপিতে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য হচ্ছে, যারা এখন দলের জন্য কাজ করছেন, তাদেরকে বাদ দিয়ে উড়ে এসে জুড়ে বসা লোক দিয়ে কমিটি গঠন করলে সেই কমিটি কার্যকর হবে না।

জানা গেছে, তারেক রহমান এ কমিটিগুলোর ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছেন।

এছাড়া জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে তারেকের দ্বন্দ্বের খবর পাওয়া গেছে। সম্প্রতি ২০ দলীয় জোটের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় কিন্তু সে ব্যাপারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অবহিত ছিলেন না। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ বৈঠক আয়োজন করে একটি যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন। অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অবস্থান ছিল যে, আপাতত এখন জামায়াতের সঙ্গে কোনো প্রকাশ্য অবস্থানে যাবে না।

জামায়াত এবং বিএনপির ঐক্যবদ্ধ অবস্থানটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্য না হওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। কিন্তু তারেক জিয়া মনে করেন যে, জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা উচিত এবং ২০ দলীয় জোটকে অকার্যকর করলে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে এ নিয়ে দলের দুই শীর্ষ নেতার মতবিরোধ এখন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে।

সূত্রটি আরো জানায়, দলে ফখরুলের অনুসারীরা মনে করছেন যে, এই মুহূর্তে হেফাজতের সঙ্গে আন্দোলন হবে বিএনপির জন্য আত্মঘাতী। কারণ হেফাজতের সঙ্গে আন্দোলনের ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএনপির ভাবমূর্তি হবে মৌলবাদী শক্তির সহযোগী সংগঠন হিসেবে। যার ফলে এটি বিএনপির জন্য ইতিবাচক না হয়ে নেতিবাচক হবে। কিন্তু তারেকপন্থী নেতারা মনে করছেন, সবগুলো রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি বৃহত্তর মৌজা হওয়া উচিত এবং আন্দোলন এখনই শুরু করা উচিত।

মূলত এসব দ্বন্দ্বের কারণেই এখন কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে আছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল। যার ফলে বিএনপির কার্যক্রমে এসেছে স্থবিরতা।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –