• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

কেঁচো এনেছে সাফল্য জালালের

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২০  

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সদর ইউপির জাহলিয়া পাড়ার জালাল আহমদ। তিনি বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য চাষের পাশাপাশি উৎপাদন করেন কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট)। যা নিজের চাষাবাদে ব্যবহারের পরও বিক্রি করেন হাজার টাকা। ফলে কেঁচোই তার জীবনে সাফল্য এনেছে। জালালের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির উঠানে মাটির ও আধাপাকা ঘরের বারান্দায় সিমেন্টের তৈরি ৫০টি চারি। যেখানে তিনি কেঁচোর চাষ করেন। কেঁচোর বংশ বাড়ার সঙ্গে গোবর থেকে তৈরি হয় ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার।

জালাল আহমদ জানান, কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে তিনি দেড় বছর ধরে কেঁচো সার উৎপাদন করছেন। গোবর, চা-পাতা, কচুরিপানা লতা-পাতা ও ডিমের খোসা, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা ও কলাগাছ টুকরা করে কেটে মেশানো হয়। পরে সেগুলো চারিতে ভাগ করে রাখা হয়। প্রতিটিতে ছেড়ে দেয়া হয় অন্তত দুইশ কেঁচো।

তিনি আরো জানান, এ প্রক্রিয়ায় কেঁচো সার উৎপাদন হতে দুই মাস সময় লাগে। প্রতি মাসে গড়ে তিনি দুই-তিন মণ সার উৎপাদন হয়। ২০ টাকা কেজি দরে এ সার বিক্রি হয়। খরচ বাদে মাসে অন্তত পাঁচ হাজার টাকা লাভ থাকে তার। এমনকি প্রতি কেঁচো এক টাকা দরে বিক্রি করেও বাড়তি আয় হচ্ছে।

জালাল বলেন, এক একর ২০ শতাংশ জমিতে বেগুন, লাউ, পেঁপে ও পান চাষ করেছি। আমার তৈরি সার ও কেঁচো সবজি ক্ষেতে দেই। এতে ফলন প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয়। জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করি না। তিনি বলেন, আগে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হতো। কিন্তু কেঁচো সার উৎপাদনই ভাগ্য বদলে দিয়েছে।

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, কৃষক জালাল আহমদকে সমন্বিত কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ প্রকল্পের আওতায় ৫০০ কেঁচো ও তিনটি স্যানিটারি রিং ও তিনটি ঢেউটিন দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি আট হাজার কেঁচো ও এক মেট্রিক টন সার উৎপাদন করছেন। এখন উপজেলায় ৭০টি ভার্মি কম্পোস্ট প্রদর্শনী রয়েছে।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –