কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে ২১ জনকে অব্যাহতি

বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে ২১ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নিজেদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরো ১১ জনকে অব্যাহতি দিয়েছে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।

মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত পৃথক দুই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরে যুক্ত থাকা, বিবাহিত ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকাসহ নানা ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ অব্যাহতি দেয়া হয়।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন- সহ-সভাপতি তানজিল ভূঁইয়া তানভির, আরেফিন সিদ্দিক সুজন, আতিকুর রহমান খান, বরকত হোসেন হাওলাদার, শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ, সাদিক খান, সোহানী হাসান তিথী, মুনমুন নাহার বৈশাখী, আবু সাঈদ (সাস্ট), রুহুল আমিন, রাকিব উদ্দিন, সোহেল রানা, ইসমাইল হোসেন তপু, দফতর সম্পাদক আহসান হাবীব, ধর্ম সম্পাদক তাজ উদ্দীন, উপ-দফতর সম্পাদক মমিন শাহরিয়ার, মাহমুদ আব্দুল্লাহ বিন মুন্সী, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক বি. এম. লিপি আক্তার, আফরিন লাবনী, সহ-সম্পাদক সামিয়া সরকার, রনি চৌধুরী।

স্বেচ্ছায় অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন- সহ-সভাপতি এস এম তৌফিকুল হাসান সাগর, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, বিএম শাহরিয়ার হাসান, হাফিজুর রহমান, এস এম হাসান আতিক, স্বাস্থ্য সম্পাদক শাহরিয়ার ফেরদৌস, উপ-স্বাস্থ্য সম্পাদক রাতুল সিকদার, শাফিউল সাজিব, উপ-প্রচার সম্পাদক সিজাদ আরেফিন শাওন, উপ-পাঠাগার সম্পাদক রুশী চৌধুরী, সহ-সম্পাদক আঞ্জুমানারা অনু।

গত ১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা অর্ধশত নেতা বাদ পড়া ও প্রত্যাশিত অনেকের পদ না পাওয়ায় ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে। এ নিয়ে ছাত্রলীগের একটি অংশ আন্দোলন করেন। পদবঞ্চিতরা ছাত্রলীগের কমিটিতে থাকা ১৭ জন বিএনপি জামায়াতসহ বিতর্কিত বলে অভিযোগ তোলেন। এছাড়া আরো ৮২ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন।