• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

খাদ্যদ্রব্য মজুদ প্রসঙ্গে যা বলে ইসলাম

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০১৯  

অধিক মুনাফার আশায় খাদ্যদ্রব্য মজুদের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মানুষকে কষ্ট দেয়া ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। 

এ ধরনের লোকের কোনো ইবাদত কবুল হয় না বলে হাদিসে স্পষ্ট বর্ণনা এসেছে। মজুদকৃত দ্রব্য সরকার নিজের জিম্মায় নিয়ে বিক্রি করে দেয়ার অধিকারও রাখে।

আরো সহজ ভাষায় বলা যায়, খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে অথবা তা বাজার থেকে তুলে নিয়ে দাম বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দেয়া ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

হানাফি মাজহাব মতে মাকরূহে তাহরিমি (হারাম সমতুল্য)। তবে অন্যান্য মাজহাবে হারাম করা হয়েছে।

এসম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি খাদ্যশস্য মজুদ রাখে, আল্লাহপাক তার ওপর দরিদ্রতা চাপিয়ে দেন। (আবু দাউদ, হাদিস নম্বর: ৫৫)।

অপর আরেকটি হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি খাদ্যশস্য গুদামজাত করে সে অভিশপ্ত। ‘ (ইবনে মাজাহ)।

এসম্পর্কে আরেকটি হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি ৪০ দিনের খাবার মজুদ রাখে, সে আল্লাহর জিম্মা থেকে বেরিয়ে যায়। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ২০৩৯৬)।

এ ধরনের কাজে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং অনেক মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। তাদের কষ্ট বাড়িয়ে দেয়। তাই ইসলাম এ প্রকার কাজকে হারাম ঘোষণা করেছে।

ব্যবসায়িক পণ্য বিক্রি না করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বর্ধিত মুনাফা আদায়ের প্রচেষ্টা শুধু ইসলাম নিষিদ্ধ করেনি বরং এটি একটি সামাজিক অপরাধ। 

এসম্পর্কে আরো একটি হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি খাদ্যশস্য গুদামজাত করে সে অপরাধী। (আল মু’জামুল কাবির : ১০৮৬)।

তবে গুদামজাত পণ্য যদি মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় বস্তু না হয় কিংবা মানুষ এর মুখাপেক্ষী না হয় অথবা এসব পণ্য চাহিদার অতিরিক্ত হয় বা গুদামজাতকারী বর্ধিত মুনাফা অর্জনের অভিলাষী না হয়, তাহলে এসব অবস্থায় পণ্য মজুদ রাখা অবৈধ নয়।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –