• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

গণ সাহায্য সংস্থার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯  

বর্তমানে কোন কার্যক্রম নেই গণ সাহায্য সংস্থার। এনজিওটির কার্যক্রম বন্ধ হবার পর সংস্থাটি উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাদের অফিসের ভবনে স্কুল কার্যক্রম শুরু করে। সেই স্কুল গুলোও আবার বন্ধ হয়ে গেছে। অভিযোগ উঠেছে বন্ধ স্কুল গুলো চালু দেখিয়ে বিদেশী দাতা সংস্থা থেকে নিয়ে আসা কোটি কোটি টাকা ভূয়া প্রতিবেদন দাখিল করে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করছে। 

অভিযোগে জানা যায়, গণ সাহায্য সংস্থা নামে একটি এনজিও দাতাদের আর্থিক সাহায্য নিয়ে অঞ্চল ভিত্তিক স্কুলে শিক্ষা কার্যক্রম আরম্ভ করে। শুরুতে এই এনজিওর কার্যক্রমে তৎপরতা দেখা গেলেও বর্তমানে তাদের কোথাও কোন কার্যক্রম নেই। ভবনের অবকাঠামোগুলো স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে। কোথাও কোথাও দুই একটি স্থানে ২০০৬ সালে স্থাপিত দাবি করে আনন্দ নিকেতন ইংলিশ স্কুলের সাইন বোর্ড শোভা পাচ্ছে। 

নীলফামারী, সৈয়দপুর, ডোমার, ময়মনসিংহ, খুলনা, পঞ্চগড়, বোদা, তেঁতুলিয়া, রংপুর বিভিন্ন স্থানে আঞ্চলিক অফিস রয়েছে। এই অফিসগুলোর আওতায় শতাধিক স্কুল নির্মাণ করা হয়। নির্মিত স্কুলগুলোতে কোন শিক্ষা কার্যক্রম না থাকায় মাদকসহ নানা অনৈতিক কাজের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। কোন কোন প্রভাবশালী সংস্থাটির রাজধানীতে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে নিজেদের সংস্থাটির সদস্য পরিচয় দিয়েও ফায়দা তুলছে। 

স্কুল পরিচালনার জন্য তারা শিক্ষক পর্যন্ত নিয়োগ দেয়। প্রথম দিকে স্কুল চালিয়ে পরিচালনা করলেও সেই শিক্ষকরা এখনও তাদের বেতন ভাতা পাননি।

একটি সুত্র সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে জানায়, বাংলাদেশের শিক্ষা বঞ্চিত শিশুদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার প্রকল্প দেখিয়ে কাতার কাউন্ডেশন এর কাছ থেকে প্রায় ১০৮ কোটি টাকা অনুদান নিয়ে আসে গণ সাহার্য্য সংস্থাটির কর্তারা। ২০১৭ ও ২০১৮ সাল পর্যন্ত বেতন ভাতা ও স্কুল পরিচালনার আসবাবপত্র ক্রয় দেখিয়ে দাতা সংস্থার ওই টাকার মধ্যে প্রথম দফায় ৫০ কোটি ও দ্বিতীয় দফায় ৪৭ কোটি সহ ৯৭ কোটি টাকা এনজিও ব্যুরো হতে ছাড় করায়। সেই টাকার বাকী ১১ কোটি টাকা জমা ছিল। জমা থাকা ১১ কোটি টাকার মধ্যে সম্প্রতি আরো ৭ কোটি টাকা ছাড় করিয়েছে প্রভাবশালী কর্তারা। অভিযোগ উঠেছে বাকী ৪ কোটি টাকা উদ্ভুদ্ধ দেখিয়ে নতুনভাবে আবার ভূয়া কার্যক্রম দেখিয়ে বিদেশ থেকে টাকা আনার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। এ জন্য অঞ্চল ভিত্ত্বিক এলাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিকট হতে সংস্থাটির কার্যক্রম চলমান এমন সনদ নেয়ার পায়তারা করছে। এমন সনদ ম্যানেজ করতে পারলে তারা বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় শিক্ষা প্রকল্পের জন্য পুনরায় আবেদন করবে। 

এ ব্যাপারে গণ সাহায্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. মাহমুদ হাসান এর সাথে বেশ কিছু গণমাধ্যম কর্মী কথা বলার চেস্টা করলে তাকে মুঠো ফোনে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলতেও ব্যর্থ হয়। 

সচেতন মহলের দাবী সঠিক দুদক সহ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয় সুষ্ঠু ভাবে তদন্ত  করলে এই এনজিওর ভূয়া কার্যক্রমের মাধ্যমে দাতা সংস্থার কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের থলের বিড়াল বেড়িয়ে পড়বে। 

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –