গণতন্ত্র যেদিন কারারুদ্ধ হয়েছিল
প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২১
আলী হাবিব
জুলাই ২০০৭, কৃষ্ণ ১৬ই। তখনো ফোটেনি আলো পুবের আকাশে। শ্রাবণ মেঘ বৃষ্টি হয়ে ঝরছিল ফোঁটায় ফোঁটায়। রাত ভোর হয় হয় এমন সময়, ধানমণ্ডির রাস্তায় যৌথ বাহিনী। ঘিরে ফেলল সুধা সদন। ধীরে ধীরে আশপাশের বাড়িগুলোর আলো জ্বলে উঠল। জানালাগুলো খুলে গেল। খবর চলে গেল গণমাধ্যমেও। সাজানো নাটকের মঞ্চে রচিত হলো এক কালো অধ্যায়। দিনের আলো ফুটে উঠল, নাকি কালোয় ঢেকে গেল সকালের পবিত্র নরম আলো!
টেলিভিশনের পর্দায় চোখ দেশের মানুষের। ভক্তরা সারিবদ্ধ পথের দুই ধারে। প্রিয় নেত্রীকে বন্দি করা হলো। নিয়ে যাওয়া হলো তাঁকে সাজানো আদালতে। নাটকের দৃশ্যপট যেমন বদলায়, ঠিক সে রকম আদালত থেকে সোজা সাবজেলে যাওয়া। গুছিয়ে চিত্রনাট্য আগেই লেখা ছিল। তৈরি ছিল অনুগত কুশীলবরাও। লেখা সংলাপের বাইরে যাওয়ার সুযোগও ছিল না কারো। অসহায় দৃষ্টিতে দেশের মানুষ দেখে, গণতন্ত্র কারারুদ্ধ হয়। হ্যাঁ, গণতন্ত্রই তো কারারুদ্ধ হয়েছিল সেদিন। গণতন্ত্রের মানসকন্যা তিনি। তাঁর কারাবাস তো গণতন্ত্রেরই কারাবাস।
গ্রেপ্তারের আগে তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়। ওই সব মামলায় তাঁকে দীর্ঘ ১১ মাস আটক রাখা হয়। কারাগারের পাশেই সংসদ ভবন চত্বরে তাঁর বিচারের জন্য স্থাপন করা হয়েছিল বিশেষ আদালত। শুরু হয়েছিল বিচারপ্রক্রিয়াও।
২০০৭ থেকে ২০০৮, তত্ত্বাবধায়ক নাম নিয়ে চেপে বসা সরকারের উদ্দেশ্য কী ছিল, সেটা তো পরিষ্কার সবার কাছেই। অতীতে এ ধরনের লেবাসধারীরা যেসব কথা বলে চেয়ারে চেপে বসে, তারাও এর ব্যতিক্রম ছিল না। কত যে মধুর কথা শুনিয়েছিল সেই ‘চেপে বসা’ সরকার! কী করবে তারা? রাজনীতির ক্ষেত্রে হবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জেগেছিল মানুষের মনে, তা কী করে হয়? মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আর মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি কী করে এক লেভেলে থাকে? প্রতিক্রিয়াশীল চক্র বিছায় চক্রান্তের জাল। প্রতিহিংসাপরায়ণ হয় সংকীর্ণ হীনম্মন্যতায়। একের পর এক জারি হয় ফরমান। তখন অবস্থা ছিল এমন যেন রাজনীতি করার মতো গর্হিত কাজ পৃথিবীতে আর কিছু নেই। বাংলাদেশের যত রাজনীতিবিদ, কারো কোনো নীতি নেই—এটা প্রমাণের কী যে চেষ্টা তাদের।
‘চেপে বসা’ ওয়ান-ইলেভেনের শাসককুল যেন নতুন করে ফিরিয়ে আনে এবডো ও পোডো। আইয়ুবি শাসন যেন ফের ফিরে আসে স্বাধীন বাংলায়। তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খান ক্ষমতায় এসেই রাজনীতিবিদদের নানা সংকটে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। গণতন্ত্র ‘মৌলিক’ করতে গিয়ে ১৯৫৯ সালের ৭ আগস্ট সামরিক প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান দুটি অধ্যাদেশ জারি করেন। এর একটি হলো পোডো-PODO|। অন্যটি এবডো-EBDO। পোডো মানে হলো পাবলিক অফিস ডিসকোয়ালিফিকেশন অর্ডার। আর এবডো মানে হলো ইলেকটিভ বডিজ ডিসকোয়ালিফিকেশন অর্ডার। পোডো আইন প্রয়োগ করে অনেক রাজনীতিবিদকে সামরিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। বিগত আমলে ঘটে যাওয়া কিছু দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে ফেলা হয় আগে ক্ষমতায় থাকা অনেক রাজনীতিবিদকে। সামরিক আদালতের একতরফা বিচারে অনেকেই হেনস্তা হন। আইন করা হলো, যাঁরা পোডো আইনে অভিযুক্ত হবেন, তাঁরা এবডো আইনে ১৯৬৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। ওই আইনে ৪২ জন বাঙালি নেতা রাজনীতিতে অযোগ্য হয়ে পড়েন। অনেকে আত্মসমর্পণ করেন। অনেকেই রাজনীতি ছেড়ে অবসরে চলে যান।
সেই সময়টা যেন ফিরে আসে ফের ২০০৭ সালে। তখন সমালোচনা করা নিষেধ। রাজনীতি নিষিদ্ধ প্রায়। তখন চলতে হতো নিয়ম-রীতি মেনে। নিয়ম মেনে বলতে হতো মনের কথাও। তখন হাস্যরস নিন্দনীয় ছিল, প্রশ্ন করা তো ছিল ঘোর অপরাধ। সেই সময়ে গ্রেপ্তার করা হলো তাঁকে, ১৯৮১ থেকে যিনি রাজপথে সোচ্চার। জনতার দাবি আদায়ের মিছিলে যিনি সবার সামনে, তাঁকে নেওয়া হলো নির্জন কারাগারে। কী অপরাধ তাঁর?সীমাহীন মহামানবের দায় কাঁধে নিয়ে দেশসাধনার অন্তহীন ক্ষেত্রে বাস করতে চেয়েছেন তিনি, এই কি ছিল তাঁর অপরাধ? তিনি জ্ঞানে ও কর্মে মানুষে মানুষে মিলিয়ে একটি দেশ নির্মাণ করতে চেয়েছেন, এই কি ছিল তাঁর অপরাধ?দেশের ভবিষ্যতের জন্য উৎসর্গীকৃত তাঁর বর্তমান। ব্যক্তিগতরূপে ভোগ না করে তিনি এমন এক ভবিষ্যৎ রচনা করতে চেয়েছেন, যেখানে দেশ ও দেশের মানুষকে নিয়ে গর্ব করা যাবে। এটাও কি অপরাধ ছিল তাঁর?
তবে তিনি তো এক ভবিষ্যদ্দ্রষ্টা। কারাগারের নির্জনতাকে তিনি আশীর্বাদ হিসেবেই নিয়েছিলেন। লিখেছেন কারাবাসের স্মৃতি। যদি নির্বাচন হয়, সেই নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ জিতে যায় তাহলে তিনি কী করবেন, তার বছরওয়ারি পরিকল্পনা করেছেন কারাজীবনে।
যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সেই স্বপ্ন আজ পূরণ হচ্ছে তাঁর কন্যা বাংলাদেশের চতুর্থবারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। তিনি আজ বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখান। বাংলাদেশও স্বপ্ন দেখে তাঁকে নিয়ে। জনকল্যাণের ব্রত সাধনার মন্ত্রে যাঁর দীক্ষা, তাঁর স্বপ্ন তো দেশকে ঘিরেই বিস্তৃত হবে। তাঁর হাত দিয়েই রচিত হবে উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার নতুন এক ইতিহাস।
লেখক : সাংবাদিক, ছড়াকার
[email protected]
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- পঞ্চগড়ে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
- তেঁতুলিয়া তীব্র তাপপ্রবাহে নলকূপে মিলছে না পানি
- বোদায় ট্রাক-ট্রাক্টর সংঘর্ষে নিহত ২
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- পুলিশের প্রতি ১১ নির্দেশনা
- প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী
- চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- শেষ বলে ১ রানের নাটকীয় জয় পেল কলকাতা
- বৈশাখ আয়োজনে রঙ বাংলাদেশ
- আন্তর্জাতিক চাপে মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকরা: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪২ ডিগ্রি, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
- টিভি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারে আইনগত ব্যবস্থা: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ‘বনভূমি দখলে স্থাপিত রিসোর্টগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালবে’
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- ‘আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার সামরিক সদস্যদের দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে’
- তুলার উৎপাদন বাড়াতে ১০ কোটি টাকার প্রণোদনা
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- এনএসআইর নতুন ডিজি হোসাইন আল মোরশেদ
- লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা
- ‘সব প্রাইভেট হাসপাতালের রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে’
- পরীক্ষামূলক জিরা চাষে কৃষকের বাজিমাত
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন
- ত্বকের দাগ দূর করবেন যেভাবে
- গরমকালে বাড়ি ঠান্ডা রাখার চীনা প্রাচীন কৌশল
- ‘যাকাত বোর্ড শক্তিশালী হলে দারিদ্র্য বিমোচন ত্বরান্বিত হবে’
- এবার ঈদে ৯০ লাখ মানুষ সড়কপথে ঢাকা ছাড়বে