চাপ সামলে উঠছে অর্থনীতি, রেমিট্যান্স ও রিজার্ভে রেকর্ড
প্রকাশিত: ৬ মে ২০২১
মহামারী করোনার অভিঘাতে বিপর্যস্ত দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি ক্রমেই চাপ সামলে উঠছে। লকডাউনের মধ্যেও চলছে সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। গ্রামাঞ্চলে ও কৃষি খাতে করোনার তেমন কোনো প্রভাব নেই। ফলে চলতি বোরো মৌসুমেও বাম্পার ফলন হয়েছে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ধান কাটা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন, চাহিদা ও সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক থাকায় অর্থনীতিতে করোনার অভিঘাতের চাপ কমছে। খরা কাটছে রপ্তানি খাতের। রেমিট্যান্স ও রিজার্ভে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
গত বছরের এ সময় দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির ছিল। পরে সরকারি খাতের নানা প্রণোদনা ও বেসরকারি খাতের সার্বিক প্রচেষ্টায় অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। এরই মধ্যে আবারও শুরু হয়ে যায় করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ। এ সংক্রমণ ঠেকাতে বর্তমানে চলছে লকডাউন। কিন্তু গত বছরের মতো সবকিছু বন্ধ করে না দিয়ে শিল্পকারখানা খোলা রাখা হয়েছে। এতে একদিকে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, অন্যদিকে অর্থনীতিও রয়েছে সচল। এ দেশের বেশির ভাগ মানুষই অপ্রাতিষ্ঠানিক ও বেসরকারি খাতের সঙ্গে জড়িত। ফলে সবকিছু বন্ধ করে দিলে কার্যত মানুষের জীবনই অচল হয়ে যাবে বলে মনে করে সরকার। আর শিল্পকারখানাসহ অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চালু রেখে অন্যান্য ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করায় অর্থনীতিতে দ্বিতীয় দফা অভিঘাতের চাপটা কমেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরে দ্বিতীয় দফায় শুরু হওয়া করোনা সংক্রমণকালে দেশের অর্থনীতি কিছুটা হলেও গতিশীল রয়েছে। তবে করোনা মহামারী সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি ওলটপালট করে দিয়েছে। আগে প্রতি বছর যেখানে ১ শতাংশ হারে দারিদ্র্য বিমোচন হতো সেখানে করোনার কারণে এখন বছরে ৪ শতাংশ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হচ্ছে। ফলে করোনাকালে নতুন করে আড়াই কোটি মানুষ চরম দরিদ্রের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। আবার অর্থনীতি রিকভারি (পুনরুদ্ধার), করোনা মোকাবিলা ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি নতুন করে এক দরিদ্রের ফাঁদে আটকে পড়ছে বলে মনে করেন তিনি। ফলে জীবনযাপনের জন্য মানুষ অনেক বেশি ধারকর্জ করছে। এতে গরিব মানুষের ঋণের বোঝা এক বছরে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এ অবস্থা মোকাবিলায় জীবন ও জীবিকাকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দেন এই বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ।
জানা গেছে, গত বছরের শুরুতে করোনা মহামারী দেখা দিলে ব্যবসা-বাণিজ্য সংকুচিত হওয়ায় চাপের মুখে পড়ে অর্থনীতি। সে সময় করোনার প্রথম ধাক্কা সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছিল রপ্তানি খাত ও রেমিট্যান্স। প্রবাসে চরম প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও গ্রামের বাড়িতে টাকা পাঠিয়েছেন কর্মীরা। সে ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে। বরং গত বছরের তুলনায় এ বছর রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি আরও বেড়েছে। অন্যদিকে গত বছরের এপ্রিল-মেতে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আদেশ স্থগিত হলেও স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সেগুলো আবার ফিরে আসে। বর্তমানে তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি আদেশ পরিস্থিতিও বেশ সন্তোষজনক। তবে আসছে না নতুন করে কোনো বিদেশি বিনিয়োগ।
এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারের লকডাউন দীর্ঘায়িত হলে অর্থনীতির ওপর চাপ আরও বাড়বে। এ কারণে জীবন-জীবিকার সমন্বয় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা কর্মকান্ড চালু রেখেছে সরকার। এদিকে ঈদের পর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এজন্য জনজীবনে আরোপিত নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সচল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। এদিকে করোনা মহামারীর মধ্যেও রেকর্ড বৈদেশিক মুদ্রা এসেছে দেশে।
সোমবার (৩ মে) দিন শেষে প্রথমবারের মতো দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ রিজার্ভ দিয়ে আগামী ১২ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। এর আগে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪৪ দশমিক ০২ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৪০২ কোটি ডলার। আর ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী একটি দেশে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে সদ্যসমাপ্ত এপ্রিলে ২০৬ কোটি ৭০ লাখ (২ দশমিক ০৬ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা; যা গত বছরের (২০২০ সাল) এপ্রিলের চেয় ৮৯ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি। গত বছরের এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার। দেশের ইতিহাসে এক মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহে এত বেশি প্রবৃদ্ধি এর আগে কখনো হয়নি। চলতি অর্থবছরের মার্চে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১৯১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ১৭৮ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে, করোনা নতুন করে বিস্তারের মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে পণ্য রপ্তানি আয়ে বাংলাদেশ আগের একই সময়ের চেয়ে সামান্য পিছিয়ে রয়েছে। গত মার্চে অবশ্য রপ্তানি আয়ে বেশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-মার্চে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি করে ২ হাজার ৮৯৩ কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার আয় করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ শতাংশ কম। মার্চে বাংলাদেশ থেকে ৩০৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের মার্চের তুলনায় ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। এর আগে বছরের প্রথম দুই মাসে রপ্তানি আয়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। দেখা যায় নিট পণ্য রপ্তানির ধারাবাহিক উন্নতি রপ্তানি খাতের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে।
এদিকে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বড় ভূমিকা রাখে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই)। কিন্তু গত বছরের কঠোর লকডাউনের মধ্যে প্রচন্ড সংকটে পড়েন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। চলতি বছরের লকডাউনে এ খাতের ব্যবসায়ীদের সংকট গত বছরের তুলনায় অনেকটা কম। এদিকে ঈদুল ফিতর সামনে রেখে আবারও সব ধরনের দোকানপাট, শপিং মল খুলে দিয়েছে সরকার। ঈদের আগে কিছুটা হলেও ব্যবসা-বাণিজ্য আবার জমেছে। করোনার কারণে গত বছর দুই ঈদ ও বাংলা নববর্ষে সারা দেশ কার্যত অচল ছিল। ফলে সে সময় ধস নেমেছিল ব্যবসা-বাণিজ্যে। সে অবস্থা থেকে এবার কিছুটা হলেও প্রবৃদ্ধির দিকে এগোচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। গত বছর এ সময়ে হুমকির মুখে পড়েছিল নিম্নমধ্য আয়ের মানুষের জীবন-জীবিকা। এ বছর অবশ্য সে অবস্থা কেটে উঠছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য এখনো বিপর্যস্ত। তবে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের অভিঘাতটা কম হওয়ায় আমাদের অর্থনীতিটা মোটামুটি গতিশীল রয়েছে। করোনার নাজুক পরিস্থিতির মধ্যেও ব্যবসা-বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে হচ্ছে। তবে সংক্রমণটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- ৭ বছর ধরে নিজ বাড়িতে শিকলে বন্দী নুর
- সারাদিন না খেয়ে থাকায় মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে, সমাধানে করণীয়
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- দায়িত্বহীনতার কারণে ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- বিক্ষোভরত ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের আটক করেছে পুলিশ
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
- ঈদ: সাড়ে ৮ ঘণ্টায় ট্রেনের ৩৫ হাজার টিকিট বিক্রি
- ‘বিএনপি ইসরায়েলের বিপক্ষে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’
- আগের সব ভিসিকেই পালাতে হয়েছে: বিএসএমএমইউর বিদায়ী ভিসি
- ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে ছুটি বাড়ানোর দাবি
- স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- কোটি হিটের পরও অবিক্রিত ট্রেনের ছয় হাজার টিকিট
- চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
- ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি জাহাজের খাবার, ভিন্ন ব্যবস্থা করছে দস্যুরা
- ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু
- ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়’
- বিশ্ব নাট্য দিবসে পঞ্চগড়ে সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- ৫ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস
- যেসব অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
- ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে’
- রাবি ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
- বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
- সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে বিএনপি
- রংপুর বিভাগে মাদক বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না
- ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হৃদয়
- আলোচনার মাধ্যমে ১১৭ বিজিপিকে ফেরানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭২.৫১ শতাংশ
- পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পুলিশকে আইজিপির নির্দেশ
- নতুন দামে সয়াবিন তেল মিলবে যেদিন থেকে
- বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ সরকারের
- এমআরটি-১ প্রকল্প বাস্তবায়নে পাতাল রেল যুগে পৌঁছাবে দেশ
- সাংবাদিকরা আমার খুবই আপনজন: ডা. দীপু মনি
- মিষ্টি না খেয়েও বাড়ছে ব্লাড সুগার? জেনে নিন কারণ
- চকবাজারে কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
- এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি চট্টগ্রামের চিনির গুদামের আগুন
- শিক্ষার্থীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ না দিতে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- আজ থেকে অফিস-আদালত-ব্যাংকে নতুন সময়সূচি
- পীরগঞ্জে দুই কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন