• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার কামড় থেকে বাঁচার উপায় কী?

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০১৯  

দেশে এখন ডেঙ্গু আতঙ্কের নাম। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। আগস্ট মাসেও ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকার আশংকা করছেন সংশিষ্টরা। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার নানামুখি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারের পাশাপাশি জনসাধারণকেও ডেঙ্গ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।   

এডিস মশা ডেঙ্গু এবং চিকনগুনিয়ার বাহক। বর্ষা এলেই এডিস মশার উৎপাত বাড়ে। ঢাকায় ডেঙ্গু বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে ভুগছে শহরবাসী। ঢাকার বাইরে অন্য জেলাগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করা হচ্ছে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

হেলথলাইন মিডিয়া জানিয়েছে, আতঙ্কিত না হয়ে জেনে নিন কীভাবে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন সেই সম্পর্কে। 

প্রথমে জেনে নিন এডিস মশা সম্পর্কে। ডেঙ্গুর পায়ে সাদা-কালো ডোরাকাটা দাগ থাকে। পেনসিলের সঙ্গে লাগানো রবারের মতো ছোট থাকে এগুলোর আকার। এডিস মশা দিনে কামড়ায়। তার মানে বাড়িতে আপনি মশারির ভেতরে বসে নিরাপদ থাকলেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে চা খাওয়ার সময় কিংবা ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে বাসের সিটে বসে অপেক্ষা করার সময়ও এডিস মশার কামড় খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কোথাও জমে থাকা পরিষ্কার পানি দেখতে পেলেই ডিম পাড়ে এডিস মশা। সেটা ফেলে রাখা বোতলের ছোট্ট ঢাকনাও হতে পারে, আবার অব্যবহৃত সুইমিং পুলের পানিও হতে পারে। জায়গা ছোট নাকি বড়, তা নিয়ে এডিস মশার মাথা ব্যথা নেই।

এডিস মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য পানি জমতে দেয়া যাবে না কোথাও। ঘরের বাথরুমের বালতি, ফুলের টব বা অন্য কোথাও পানি জমতে দেয়া যাবে না। মশা যেহেতু অনুমতি নিয়ে ঘরে ঢুকে না, তাই বাইরের মশাও প্রবেশ করতে পারে। এজন্য রাস্তাতেও ডাবের খোসা বা অন্য কিছুতে পানি জমে থাকতে দেখলে নিজে দায়িত্ব নিয়ে ফেলে দেয়ার ব্যবস্থা করুন।

মশার কামড় থেকে বাঁচতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। কারণ রাতে এডিস মশা না কামড়ালেও ভোর থেকে কামড়ানো শুরু করে। বাড়ির জানালাগুলোতে নেট ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে মশা ঘরে ঢুকতে পারবে না। বাড়িতে মশা না থাকলেও বাইরে মশা কামড়াতে পারে। তাই ভালো মানের মসকুইটো রিপিলেন্ট ব্যবহার করুন।

প্রাকৃতিক মসকুইটো রিপিলেন্ট হিসেবে নিম তেল, ইউক্যালিপটাস তেল, লেমন গ্রাসের তেল অথবা খাঁটি নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এগুলোর গন্ধে প্রায় ২/৩ ঘণ্টা পর্যন্ত মশা শরীরে বসে না।

ঘরে বিশেষ কিছু গাছ রাখলেও মশা থাকে না। সেগুলোর মধ্যে লেমন গ্রাস, পুদিনা, বেসিল, ল্যাভেন্ডার, রসুন গাছ, রোজমেরি এবং গাঁদা ফুল গাছ অন্যতম। 

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –