• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

তেঁতুলিয়ায় নির্মাণের ১০ দিনেই ভেঙে পড়ল কালভার্ট

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২০  

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার নির্মাণের মাত্র ১০ দিনের মাথায় ভেঙে গেছে কালভার্ট। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী আর অনিয়ম দুর্নীতির কারণে কালভার্টটি ভেঙে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। নতুন করে কালভার্টটি নির্মাণের দাবি জানিয়ে এলাকাবাসী গত ১২ জুলাই তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলার তেতুঁলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের নিজবাড়ি বাসা মোড় থেকে  সুকানী সীমান্ত গ্রামীণ রাস্তার শিবচন্ডি গ্রামের আব্দুল খালেকের বাড়ির পাশের রাস্তায় এ কালভার্টটি দশ দিন আগে নির্মাণ করা হয়।

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে অংশীদারিত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এক লাখ টাকা ব্যয়ে এই কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়।

বিআরডিবি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর অধীনে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির উপদেষ্টা দেবনগড় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ও প্রকল্প স্কিম বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আব্দুল খালেক এই কালভার্ট নির্মাণের দায়িত্ব নেন।

নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কালভার্টটির নির্মাণ কাজ শুরু করলে এলাকাবাসী সেসময়ই বাধা দেয়। কিন্তু বাধা উপেক্ষা করে সংশ্লিষ্টরা পরিমাণের চেয়ে কম রড ও সিমেন্ট এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে কালভার্টটির দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করে। নির্মাণের ১০ দিন পর গত ৯ জুলাই কালভার্টটি ভেঙে পড়ে।

শিবচন্ডি গ্রামের আজিজার রহমান জানান, বিভিন্ন প্রকার যানবাহনসহ এলাকাবাসীর চলাচলের একমাত্র রাস্তা। চলাচলের জন্য আর কোনো বিকল্প রাস্তা না থাকায় কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে এলাকাবাসী দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

ওই এলাকার আব্দুল খালেক জানান, রাস্তা নির্মাণের টাকা আত্মসাতকারী প্রকৌশলী, ইউপি সদস্য ও প্রকল্পের সভাপতির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম কালভার্টটির উপর দিয়ে ট্রাক্টর যাওয়ায় উপরের অংশ ভেঙে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন।

অন্যদিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আব্দুল খালেক ইউনিয়ন পরিষদ ও গ্রামবাসীর অংশের টাকা দেননি এবং ভেঙে যাওয়া অংশ মেরামত করে দেয়া হবে বলে জানান।

বিআরডিবি উপ-পরিচালক শামসুর রহমান কালভার্ট ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না, তবে কালভার্টটি সংস্কারের ব্যবস্থা করবেন বলে জানান।

কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়েছেন এবং তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তেতুঁলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –