দিনাজপুরের মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে আমরা শান্তিপ্রিয় কিন্তু প্রতিবাদী
প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০১৯
ইয়াসমীন ট্রাজেডির ২৪তম দিবসকে সামনে রেখে ঐতিহাসিক এই আন্দোলনের সুচনাকারী নেতা বর্তমান এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, আন্দোলনটা আমরা শুরু করেছিলাম। কিন্তু এর শেষটা করেছেন প্রবীণ রাজনীতিক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সংবিধান প্রনেতা সাবেক সাংসদ এ্যাডঃ আব্দুর রহিম। তিনি না হলে ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের বিচার পাওয়া হয়ত সম্ভব হতো না।
সাক্ষাৎকারে ইয়াসমীন আন্দোলনের প্রথম প্রতিবাদকারী ও আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বর্তমানে দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, সে সময়ের গণঅভ্যূত্থান অন্তত্যপক্ষে সমগ্র বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছিল মর্যাদা রক্ষার জন্য দিনাজপুর পারে এবং মর্যাদা রক্ষায় দিনাজপুরের মানুষ সর্বচ্চো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।
স্বাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, ইয়াসমীন আন্দোলন বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলের আন্দোলন ছিলনা। এ আন্দোলন ছিল সমগ্র দিনাজপুরবাসীর আন্দোলন। যার কারণে তদানিন্তন সরকার বাধ্য হয়েছিল জনতার দাবী মেনে নিতে। যদিও তারা দাবীগুলো বাস্তবায়ন করেনি। ৮ দফা দাবী মেনে নিয়ে তৎকালীন সরকার প্রধানের বিশেষ প্রতিনিধি এসে সমঝোতা করতে বাধ্য হয়। তিনি আরো বলেন, এই ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ শিক্ষা নিয়েছে বোনের, মায়ের সম্ভ্রম কি ভাবে রক্ষা করতে হয়। আমরা সমগ্র বিশ্বে একটি উদাহরণ।
আন্দোলনের সফলতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে সংসদ সদস্য গোপাল বলেন, আমরা সফল। এই আন্দোলন একটি মাইল ফলক। আমরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি দিনাজপুরের একজন গৃহপরিচারিকার জন্যও কি ভাবে রুখে দাঁড়াতে হয়।
বিচার বিষয়ে জানাতে চাইলে তিনি জানান, আমরা বিচার পেয়েছি। বিচারের রায়ে ৩ জন পুলিশের ফাঁসি হয়েছে। এ বিচার পেতে যিনি সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি হলেন- প্রবীণ রাজনীতিক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সংবিধান প্রনেতা সাবেক সাংসদ এ্যাডঃ আব্দুর রহিম। তিনি না হলে হয়ত আমরা ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের বিচার পেতাম না। যখন দিনাজপুর জেলা দায়রা জজ আদালত থেকে মামলাটি রংপুর দায়রা জজ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন প্রবীণ রাজনীতিক এম আব্দুর রহিম প্রতি তারিখে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে বাস ভাড়া করে দলবলসহ ইয়াসমীনের মা শরীফা বেগমকে রংপুর নিয়ে যেতেন। আমরা যে বিচার পেয়েছি, সেটির জন্য এম আব্দুর রহিমের প্রতি দিনাজপুরবাসী কৃতজ্ঞ।
ইয়াসমীন আন্দোলনের পরবর্তী সময় একাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে আন্দোলন সুচনাকারী নেতা হিসেবে আপনার নাম নাই বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটাও একটা ইতিহাস। দিনাজপুরবাসী জানে কারা আন্দোলন করেছিল। ইতিহাস বিকৃতি করে প্রকৃত ইতিহাসকে দাবিয়ে রাখা যায় না। একদিন সত্য প্রকাশ পাবেই। তাছাড়া দিনাজপুরবাসী তো জানেই।
আন্দোলন পরবর্তী সময়ে সরকারের কি ভূমিকা ছিল? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত জোট সরকার কথা দিয়ে কথা রাখেনি। তারা ৮ দফার ভিত্তিতে সমঝোতা করলেও একটি শর্ত তারা পূরণ করেনি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে দাবীগুলো পূরণ করেছে এবং দোষীদের বিচার করেছে। তিনি বলেন, আমাদের কিছু অর্জন রয়েছে কিন্তু আমরা এখনো ক্ষতিগ্রস্থ-নিহতদের পরিবারগুলোকে পূণর্বাসন করতে পারেনি। ইয়াসমীন এখন সারা বিশে^ নারী নির্যাতন প্রতিরোধের একটি প্রতীক। তার মানে আমরা বলছি না যে, এখন সে ধরণের ঘটনা ঘটে না।
ধর্ষন-হত্যা ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আমাদের করনীয় কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা আইন করে দেখলাম। আইন দিয়ে ধর্ষণ-হত্যা ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করা সম্ভব না। তাই সামাজিক আন্দোলন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সামাজিক সচেতনতা।
ইয়াসমীন আন্দোলনের সার্বিক সফলতা বা আমাদের অর্জন কি? প্রশ্নের উত্তরে মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, অর্জন তো অবশ্যই আছে। এ ঘটনার পর আমাদের মেয়েরা অফিস আদালতে নির্ভিঘ্নে কাজ করতে পারে। শহরে তারা এখন নিরাপদে বিচরণ করে। শুধু তাই নয় ইয়াসমীন এখন নারী নির্যাতন প্রতিরোধে প্রতীক হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত একটি নাম। দিনাজপুর জেলাকে এখন মানুষ এক নামে চেনে।
এই আন্দোলনের আপনার জীবনে কোন ঝুঁকি ছিল কি না শেষ এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিপদগামী কিছু পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, ঝুঁকি তো থাকবেই। সে সময় আমাকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আমার নামে মামলা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দিনাজপুরের প্রতিবাদি মানুষ সেই সময়ে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে দিয়েছে। দিনাজপুরের মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে আমরা শান্তিপ্রিয় কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদকারী।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- পঞ্চগড়ে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
- তেঁতুলিয়া তীব্র তাপপ্রবাহে নলকূপে মিলছে না পানি
- বোদায় ট্রাক-ট্রাক্টর সংঘর্ষে নিহত ২
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- পুলিশের প্রতি ১১ নির্দেশনা
- প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী
- চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- শেষ বলে ১ রানের নাটকীয় জয় পেল কলকাতা
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বৈশাখ আয়োজনে রঙ বাংলাদেশ
- আন্তর্জাতিক চাপে মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকরা: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪২ ডিগ্রি, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
- টিভি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারে আইনগত ব্যবস্থা: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ‘বনভূমি দখলে স্থাপিত রিসোর্টগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালবে’
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- ‘আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার সামরিক সদস্যদের দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে’
- তুলার উৎপাদন বাড়াতে ১০ কোটি টাকার প্রণোদনা
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- এনএসআইর নতুন ডিজি হোসাইন আল মোরশেদ
- লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা
- ‘সব প্রাইভেট হাসপাতালের রোগনির্ণয় ফি নির্ধারণ করা হবে’
- পরীক্ষামূলক জিরা চাষে কৃষকের বাজিমাত
- জনপ্রিয় অভিনেতা রুমি মারা গেছেন
- ত্বকের দাগ দূর করবেন যেভাবে
- গরমকালে বাড়ি ঠান্ডা রাখার চীনা প্রাচীন কৌশল
- ‘যাকাত বোর্ড শক্তিশালী হলে দারিদ্র্য বিমোচন ত্বরান্বিত হবে’