দেশে করোনা শনাক্তে শিগগিরই চালু হচ্ছে র্যাপিড টেস্ট পদ্ধতি
প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২০
মহামারি করোনাভাইরাস শনাক্তে শিগগিরই র্যাপিড টেস্ট শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে অ্যান্টিবডি-অ্যান্টিজেনের অনুমোদনের একটি প্রস্তাবনা যাচাই-বাছাই বা মতামতের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর এর কার্যক্রম শুরু হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৫ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতর অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন সম্পর্কিত নীতিমালার খসড়া তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া গেলেই ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সে অনুযায়ী অ্যান্টিবডি-অ্যান্টিজেন কিট কেনার জন্য স্পেসিফিকেশন দেবে।
যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ বিষয়ে বলেছেন, অধিদফতর থেকে যে ফাইল পাঠানো হয়েছে, সেটা আমার কাছে আসেনি এবং এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কারও সঙ্গে আলাপও হয়নি। এখন সেটা কোন পর্যায়ে রয়েছে তা বলতে পারব না। তারা কী পাঠিয়েছে সেটাও বলতে পারবে না। র্যাপিড টেস্ট হলে তো সেটা ন্যাশনাল পলিসি, এটাতো কেবল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ই করবে না। তারা যদি পাঠিয়ে থাকে, তাহলে আমাদের সেটা আরও উপরে পাঠাতে হবে।
তবে নাম প্রকাশ না করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, কোভিডের নতুন এ প্রেক্ষাপটে কী কী করা উচিত, কী কী টেস্ট অ্যাভেইলেবল তার একটা প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় যদি অনুমোদন দেয় তাহলে বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হবে।
‘আশা করছি, তারা অনুমোদন দিয়ে দেবে’, মন্তব্য করে ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা অ্যান্টিজেন, অ্যান্টিবডি সরকারিভাবে জেলা পর্যায়ে এমনকি যেসব পরীক্ষা উপজেলা পর্যায়েও করা যায়—এই ধরনের প্রস্তাবসহ নীতিমালার একটা খসড়া মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই অধিদফতর বাস্তবায়নের কাজ শুরু করবে।
এর আগে গত ৩ জুন করোনা শনাক্তে র্যাপিড টেস্টের জন্য সুপারিশ করে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এছাড়া করোনা শনাক্তে এতদিন ধরে চলা আরটি পিসিআর পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করার পক্ষেও মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি কমিউনিটিতে কত মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, আক্রান্তদের মধ্যে কতজনের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে এবং যে কারণে তাদের পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় শূন্য সেটা নির্ণয় করা যাবে। রোগীর উপকার এবং এপিডেমিওক্যাল গবেষণা এই দুই ক্ষেত্রেই র্যাপিড টেস্টের প্রয়োজন রয়েছে। একইসঙ্গে লকডাউন লিফটিং, পোশাক কারখানাসহ নানা অফিস আদালত খুলে দেয়ার জন্য, স্বাস্থ্যকর্মীদের কী অবস্থা সেটা বোঝার জন্য, এমনকি ভ্যাকসিন টেস্ট করার জন্যও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কিনা এসবের জন্যই র্যাপিড টেস্টের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ন্যাজাল সোয়াবের মাধ্যমে করা অ্যান্টিজেন টেস্টে আর্লি পজিটিভ বা আর্লি ডিটেকশন করা যায়। তাই পিসিআর টেস্টের পাশাপাশি অ্যান্টিজেন পরীক্ষা থাকলে রোগী শনাক্ত করা সহজ হয়।
তিনি জানান, পিসিআর পরীক্ষায় যেসব ‘ডিফিকাল্টিজ’ রয়েছে, অ্যান্টিজেনে সেসব নেই। এই পরীক্ষা যেমন সহজে করা যায়, তেমনই মেশিনের দরকার হয়। আলাদা ল্যাবরেটরি বা যে কোথাও করা যায়, এর জন্য বায়োসেফটির দরকার নেই। প্রয়োজন হয় না তেমন দক্ষ নমুনা সংগ্রহকারীরও। দেশের ৪৯১টি উপজেলায় এ পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।
ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গুরুতর রোগী এলে, তার কোভিড টেস্ট না থাকায় চিকিৎসা না দেয়া, এমনকি এ অবস্থায় ওই রোগীর মৃত্যুর খবর পর্যন্ত আমরা পেয়েছি। অথচ মাত্র ১৫ মিনিটে র্যাপিড টেস্ট করা গেলে, পজিটিভ-নেগেটিভ যাই হোক না কেন, রোগীকে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া যাবে।
তিনি বলেন, একইসঙ্গে এখন যে লাল-সবুজ কার্যক্রম চলছে, তাতে করে খুব দ্রুত অ্যান্টিজেন-অ্যান্টিবডি টেস্ট করা দরকার। কারণ এটা দিয়ে ঘরে ঘরে টেস্ট করা যায়। কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে সেখানেই তার পরীক্ষা করে তাকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া যায়, কিন্তু সেটা যদি আরটি পিসিআরের জন্য অপেক্ষা করতে হয়, তাহলে এক দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আর সহজে যদি রোগী শনাক্ত করা যায়, তাহলে তাকে আইসোলেশনে পাঠানো যায়, তার কন্টাক্ট প্রেসিং দ্রুত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যায়। এতগুলো সুবিধা রয়েছে র্যাপিড টেস্টে। একইসঙ্গে পিসিআরের তুলনায় খরচও খুব কম।
সবমিলিয়ে এটা (র্যাপিড টেস্ট) খুব দ্রুত চালু করা দরকার জানিয়ে অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, এটা যদি আগে করা যেতো তাহলে অনেক নেগেটিভ কেস যেগুলো আসলে করোনা আক্রান্ত ছিল, সেগুলো পজিটিভ পেতে পারতাম। আর এটা না পাওয়ার ফলে পজিটিভ হলেও নেগেটিভ রিপোর্ট পাবার কারণে, তারা ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যকে সংক্রমিত করেছে এবং কেউ কেউ যথসময়ে চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে মারাও গেছেন।
অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ আরও বলেন, অ্যান্টিজেন এবং অ্যান্টিবডি দুটো পরীক্ষাই আরডিটি (র্যাপিড ডায়াগনস্টিক টেস্ট) এবং অ্যালাইজা পদ্ধতিতে করা যায়। তবে অ্যালাইজা পদ্ধতিতে পরীক্ষা হলে তাতে করে নিদিষ্ট প্রটেকটিভ লেভেল বা ‘অ্যান্টিবডি টাইটার’ বোঝা যায়। আর আরডিটি দিয়ে কেবল পজিটিভ-নেগেটিভ বলা যাবে, সুনির্দিষ্টভাবে কতটুকু অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, সেটা বলা যাবে না।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা শুরু থেকেই একথা বলে এসেছি, এতদিন পরে এসেও সেটা করা হচ্ছে, এটা ভালো খবর।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, বাংলাদেশের সব জায়গায় এখন করোনা শনাক্ত করা খুব প্রয়োজন। যদিও সব জায়গাতে পিসিআর ল্যাবরেটরি স্থাপন করা বাংলাদেশের মতো দেশে কঠিন। তাই অ্যান্টিজেন এবং অ্যান্টিবডি কম্বাইন্ড করে যদি উপজেলা পর্যন্ত পরীক্ষা সুবিধাকে সম্প্রসারণ করা যায়, তাহলে ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে এর আওতায় নিয়ে আসা যাবে। কোভিড রোগীকে দ্রুত শনাক্ত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- দায়িত্বহীনতার কারণে ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- বিক্ষোভরত ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের আটক করেছে পুলিশ
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
- ঈদ: সাড়ে ৮ ঘণ্টায় ট্রেনের ৩৫ হাজার টিকিট বিক্রি
- ‘বিএনপি ইসরায়েলের বিপক্ষে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’
- আগের সব ভিসিকেই পালাতে হয়েছে: বিএসএমএমইউর বিদায়ী ভিসি
- ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে ছুটি বাড়ানোর দাবি
- স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- কোটি হিটের পরও অবিক্রিত ট্রেনের ছয় হাজার টিকিট
- চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
- ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি জাহাজের খাবার, ভিন্ন ব্যবস্থা করছে দস্যুরা
- ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু
- ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়’
- বিশ্ব নাট্য দিবসে পঞ্চগড়ে সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- ৫ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস
- ‘গাড়ি কোথায়’ অ্যাপে ওঠে সড়কের চাঁদা, মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য
- গ্রামে দারিদ্র্যের হার কমলেও বেড়েছে শহরে
- যেসব অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
- ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে’
- রাবি ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
- বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
- সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে বিএনপি
- রংপুর বিভাগে মাদক বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না
- ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হৃদয়
- আলোচনার মাধ্যমে ১১৭ বিজিপিকে ফেরানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭২.৫১ শতাংশ
- পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পুলিশকে আইজিপির নির্দেশ
- নতুন দামে সয়াবিন তেল মিলবে যেদিন থেকে
- বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ সরকারের
- এমআরটি-১ প্রকল্প বাস্তবায়নে পাতাল রেল যুগে পৌঁছাবে দেশ
- সাংবাদিকরা আমার খুবই আপনজন: ডা. দীপু মনি
- মিষ্টি না খেয়েও বাড়ছে ব্লাড সুগার? জেনে নিন কারণ
- চকবাজারে কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
- এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি চট্টগ্রামের চিনির গুদামের আগুন
- শিক্ষার্থীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ না দিতে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- আজ থেকে অফিস-আদালত-ব্যাংকে নতুন সময়সূচি
- পীরগঞ্জে দুই কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন