• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

নিয়ম না মেনেই চেয়ারম্যানের আদেশে কাটা হলো পরিষদের ৩৫ টি গাছ

প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০১৯  

সরকারি শর্ত ও নীতিমালা না মেনেই পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরের ৩৫ টি গাছ নির্বিচারে কেটে ফেলেছে খোদ ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বিনা কারণে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান লিটন তার লোকজন দিয়ে গাছগুলো কেটে গোপনে বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। পরে স্থানীয়রা গাছ বিক্রির আভাস পেলে প্রতিবাদ জানালে গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরেই জমা করে রাখে দেয়া হয়। সরকারি শর্ত পূরণ না করে বিনা কারণে পরিষদ চত্বরে সুশোভিত বড় বড় গাছগুলো কাটায় ওই এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।  

স্থানীয়রা জানায়,  শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান লিটন হঠাৎ তার লোকজন দিয়ে পরিষদ চত্বরের গাছগুলো বিনা কারণে কাটতে থাকে। ওই পরিষদের চত্বরের চারপাশে থাকা মেহগনি, কাঁঠাল, আকাশমনি ও জলপাইসহ বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হয়। স্থানীয়রা কিছু বুঝে উঠার আগেই ৩৫ থেকে ৪০টি গাছ কেটে ফেলে লিটন চেয়ারম্যানের লোকজন। গাছগুলো কেটে জমা করে রাখা হয় পরিষদ চত্বরেই। পরিষদ চত্বরে কাটা কিছু গাছের গোড়ালি তুলে সরিয়ে ফেলা হলেও অধিকাংশ গাছের গোড়ালি এখনো রয়ে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, চেয়ারম্যান লিটন গাছগুলো বিক্রি করে তার লোকজন নিয়ে টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করছিলেন। তবে সবাই বিষয়টি জেনে যাওয়ায় তার উদ্দেশ্য ভেস্তে যায়। 

শালবাহান এলাকার বাসিন্দা জমির বলেন, প্রায় ২০ বছরের পুরনো গাছ। গাছগুলো বিনা কারণে নির্বিচারে কাটা হয়েছে। এভাবে এক সাথে এতগুলো গাছ কাটা চেয়ারম্যানের ঠিক হয়নি। অধিকাংশ গাছ পরিষদ ভবনের সামনে ছিল। গাছগুলো ভবনের কোন ক্ষতি করেনি বরং মানুষ গাছের ছায়ায় বসে বিশ্রাম নিতো। প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার গাছ হবে। তবে অনেকেই মনে করে ছিলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অনুমতি নিয়ে গাছ গুলো কেটে ফেলেছে। পরে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এর কিছুই জানে না। 

এ বিষয়ে শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, গাছের কারণে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে তাই গাছগুলো কাটা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি না নেয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন,আমরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের নিয়ে সভা করে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেই। ৩৫ টির মতো গাছ কাটা হয়েছে। গাছগুলো পরিষদেই জমা রাখা আছে। যাক একটা ভুল হয়ে গেছে, আপনারা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আমি শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে গাছ কাটার খবর শুনে তেঁতুলিয়ার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) প্রেরণ করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –