• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

নীলফামারীতে আদালত চত্বরে সংঘর্ষে আইনজীবীসহ আহত ৫

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২০  

নীলফামারী জেলা জজ আদালত চত্বরে পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে একটি মামলার বিবাদি পক্ষের হয়ে বাদি পক্ষের আইনজীবীসহ আইনজীবী সহকারীকে হুমকী প্রদান করায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ রবিবার(১৯ জানুয়ারি/২০২০) দুপুরের ওই ঘটনায় আইনজীবীসহ পাঁচ জন আহত হয়। 


আহতদের মধ্যে বাদি পক্ষের আইনজীবী আজাহারুল ইসলাম ও বিবাদি পক্ষের নিরঞ্জন রায়কে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতরা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। উক্ত নিরঞ্জন জলঢাকা উপজেলার রথের বাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ প্রোপাইটর হিসেবে কর্মরত। তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানন্তর করা হয়েছে।


আহত আইনজীবী আজাহারুল ইসলাম জানান, পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ফারহানা আক্তার তার স্বামী নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সরোয়ার আলমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বাদি পক্ষের আইনজীবী নিযুক্ত হয়ে মামলাটি পরিচালনা করছিলেন তিনি (আজাহারুল ইসলাম)। আজ রবিবার মামলাটির নির্ধারিত তারিখ ছিল। মামলা চলাকালে আমি আদালতে ছিলাম। এসময় আদালত চত্বরে বিবাদী ডা. সরোয়ার আলমের পক্ষ নিয়ে এক ব্যক্তি আমার সহকারী আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারীকে হুমকী প্রদান করেন। পরিচয় জানতে চাইলে পুলিশের এসআই রমজান আলীর নামের কথা উল্লেখ করেন। পরে তার প্রকৃত নাম নিরঞ্জন রায় বলে জানা যায়। আইনজীরা ভুয়া পরিচয় প্রদানের বিষয়ে প্রতিবাদ জানালে নিরঞ্জন চড়াও হয়ে আইনজীদের ওপর হামলা চালায়। ওই হামলায় আমিসহ আইনজীবী আকবর আলী, শিক্ষানবিশ আইনজীবী শাহজাহান, আবুবক্কর সিদ্দিক ও সেখানে উপস্থিত অটোবাইক চালক খয়বর আহত হয়।


আইনজীবী আকবর আলী বলেন, ওই ব্যক্তি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে আদালত চত্বরে এসে মামলাটির বিবাদি পক্ষের হয়ে হুমকি প্রদান করেন। এমনকি আইনজীবীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।  পরে প্রকৃত পরিচয় জানতে পেরে প্রতিবাদ জানাতে গেলে চড়াও হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায় নিরঞ্জন। 
চত্বর কমিউনিটি হেলথ প্রোপাইটর নিরঞ্জন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি স্বাস্থ্য বিভাগে চাকুরী করি। স্যারের (ডা. সরোয়ার) সঙ্গে পরিচয় থাকায় তাঁর মামলার কারণে সেখানে আমি এসেছিলাম। তারা (আইনজীরা) অর্তকিত হামলা চালিয়ে আমাকে আহত করেন। 


এঘটনায় হাসপাতালের দুই জনকে ভর্তি করার কথা স্বীকার করেছেন জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মাসুদ রানা। # 

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –