• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

পঞ্চগড়ে মাদক বিরোধীদের বিরুদ্ধে কথা বলায় মামলা দায়ের

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২০  

 

মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করে অবশেষে কি হেরেই যাবেন বাবুল খাঁন(৫৫)! শেষ বয়সে এসে নিজেই এখন মাদক ব্যবসায়ীদের রোষানলে পড়ে প্রতারণা ও ডাকাতি মামলার আসামি হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বাবুল খাঁন। অথচ ইতঃপূর্বে কোনো মামলা তো দুরের কথা তার নামে জিডিও হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার রানীগঞ্জ দোহসুহ গ্রামে। 

বাবুল খাঁন বলেন, আমি সাধারণ মানুষ হয়েও সাধ্য অনুযায়ী সামাজিক কাজসহ মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়াই আর মাদকের বিরোধিতা করি। এলাকায় মাদকদ্রব্য সহজলভ্য হওয়ায় যুবসমাজ বিপদগামী হচ্ছে অভিযোগ করে বাবুল খাঁন বলেন, এলাকার যুবসমাজকে রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মিডিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে মাদক বিরোধি কথা সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করেছি। আটোয়ারী পুলিশ মাদক সেবীদের খোঁজে দোহসুহ এলাকায় টহল দেয়। মাদক ব্যবসায়ীরা বাবুল খাঁনকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। বাবুল খাঁন বাদী হয়ে নজরুল ও হাফিজুল এর বিরুদ্ধে আটোয়ারী থানা জিডি (৮৪৬) করেন। তার এই উদ্যোগের কারণে এলাকার মাদক কারবারীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে ০১ ডিসেম্বর বাবুল খাঁনকে পথরোধ করে এলোপাথারী মারডাং করেন। 

প্রত্যক্ষদর্শী বীরমুক্তিযোদ্ধা দাইমউদ্দীন লেবুসহ স্বাক্ষীগণ তাকে উদ্ধার করে বোদা হাসপাতালে ভর্তি করেন। দোহসুহ গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম শফিকে প্রধান আসামি করে ১৩জনের নাম উল্লেখ করে আটোয়ারী থানায় মামলা (০২) করে। বাবুল খাঁনের মাদকবিরোধী তৎপরতায় বলরামপুর ইউনিয়নের কুড়-লিয়া গ্রামের পদ্দমোহনের ছেলে বিকাশ চন্দ্র কে ১৩ পিচ ইয়াবা সহ পুলিশ গ্রেপ্তার করে। আরো গ্রেপ্তার হয়  গোলাম আলী তার সহযোগী মাদক ব্যবসায়ী রকি। আরো ৬০ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয় বলরামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি মোটাপাড়া গ্রামের নুরুন নবীর ছেলে মোস্তাকিম। 

মামলার আসামি শফিকুল ইসলাম শফির মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তার মোবাইল রিসিভ না হওয়ায় তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি। মাদক কারবারীরা বর্তমানে ক্ষুব্ধ হয়ে বাবুল খাঁনের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে। এরইমধ্যে একমাত্র হয়রানি করার জন্যই ঢাকা আশুলিয়া আমলী আদালতে সিআর মামলা নং ০৪/২০, তার বিরুদ্ধে ১৫ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার প্রতারণা মামলা দেয়। বর্তমানে বাবুল খাঁন এই মামলায় জামিনে আছেন। পঞ্চগড় আদালতেও বাবুল খাঁনের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা দেওয়া হয়েছে। 

মামলার স্বাক্ষী ও বীরমুক্তিযোদ্ধা দাইম উদ্দীন লেবু বলেন, বাবুল খাঁনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ডাকাতি মামলা দুটি শতভাগ মিথ্যা। 

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –