• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পার্বতীপুরে করোনাকালে মাদরাসায় নির্বাচন, এলাকায় ক্ষোভ

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২১  

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে কভিড-১৯ চলাকালে একটি মাদ্রাসায় গভর্নিং বডির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ উত্তেজনা বিরাজ করছে। মাদ্রাসাটিতে নানা কারনে দীর্ঘদিন ধরে কোন্দল চলে আসছে। এতে শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হয়ে আসছে বহুদিন থেকে। এরমধ্যে ১১ মাস ধরে  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকা অবস্থায় একজন রিট পিটিশনারকে অগ্রাহ্য করে এডহক কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় কোন্দল নিরসনের পরিবর্তে দীর্ঘায়িত হওয়ার ও করোনা পরিস্থিতির অবসান হলে প্রতিষ্ঠানটি খোলার পর লেখাপড়া নতুন করে ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসী।  

জানা গেছে,পার্বতীপুর উপজেলার মন্মথপুর ঈদগাঁভিত্তিক ইবিএসই আলিম মাদ্রসায় গত ১৬ জানুয়ারি গভর্নিংবডির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে মোঃ রুহুল আমিন, অভিভাবক সদস্য হিসেবে  মোঃ মোজাহারুল ইসলাম, সাধারণ শিক্ষক সদস্য হিসেবে জাহিরুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ/ অধ্যক্ষ মোঃ মহসীন আলী মন্ডলকে সদস্য সচিব নির্বাচন করা হয়েছে। উল্লেখিত গভর্নিং বডিকে সভাপতি মনোয়নসহ এডহক কমিটি হিসেবে ৬ মাসের জন্য বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর অনুমোদন প্রদান করে। এই এডহক কমিটির অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। 

জানা যায়, গভর্নিং বডির গঠন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সেকেন্দার আলী শাহ্ এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। পিটিশন নম্বর ৬৮২৫/১৮। এই রিটের কারনে প্রিজাইডিং অফিসার গভর্নিং বডি গঠন করতে চাইলে গভর্নিং বডির সভাপতি মোঃ আফসার আলী হাইকোর্টে আরেকটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। রিট পিটিশন নং ১৪৫৪০/১৮। এ বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্ট ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর একটি রুল জারি করেন। অন্যদিকে, মামলা চলমান থাকা অবস্থায় মাদ্রাসার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ মোঃ  মহসীন আলী মন্ডল ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পুনরায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড হতে এডহক কমিটির অনুমোদন লাভ করেন। 

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের  ৭ জানুয়ারি মহামান্য হাইকোর্ট রিট পিটিশন নম্বর ১৪৫৪০/১৮ এর পূর্নাঙ্গ রায় প্রদান করেন। করোনা মহামারির কারনে হাইকোর্ট ওই রায়ের কপি ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর প্রকাশ করেন। এদিকে, নির্বাচন চলার দিন সাসপেন্ড হওয়া অধ্যক্ষ মহসীন আলী মণ্ডল বলেন, ইতিপূর্বে এডহক কমিটির সভাপতি ইউএনও তার সাসপেন্ড প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তবে তিনি প্রত্যারের কাগজ দেখাতে পারেননি। এব্যপারে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, আমি ডিসি সাহেবের নির্দেশক্রমে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছি। 

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –