• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ চলছে, দেখা যাচ্ছে যেসব জায়গায়

প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২২  

আংশিক সূর্যগ্রহণের পর এবার বছরের প্রথম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব। দক্ষিণ গোলার্ধের বেশিরভাগ জায়গা থেকেই এ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। এই সময় চাঁদের রং লালাভ হয়ে আছে; যাকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় ‘ব্লাড মুন’ বলা হয়।

সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ২৯ মিনিট থেকে ১০টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত এ চন্দ্রগ্রহণ চলবে বলে জানিয়েছিল জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর।

সোমবার শুরু হওয়া এ চন্দ্রগ্রহণ দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপ, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকার বেশিরভাগ অংশ, দক্ষিণ আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, আটলান্টিক এবং অ্যান্টার্কটিকাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে।

তবে এ চন্দ্রগ্রহণ বাংলাদেশে দৃশ্যমান হওয়ার সম্ভাবনা নেই জানিয়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেছিলেন, দিনের বেলায় এই চন্দ্রগ্রহণ হওয়ায় বাংলাদেশে তা দেখা যাবে না। তবে সৌরজাগতিক এ ঘটনা সবার জন্য শিক্ষণীয়।

যখন চাঁদ এবং সূর্যের মাঝে চলে আসে পৃথিবী এবং পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে তখনই চন্দ্রগ্রহণ ঘটে। মজার বিষয় হল, বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণই হবে পূর্ণগ্রাস। ১৬ মের গ্রহণ বিশ্বের একাধিক বড় শহর দেখতে চলেছে। এই শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে লন্ডন, লন্ডন, প্যারিস, হাভানা, জোহানেসবার্গ, লাগোস, মাদ্রিদ, স্যান্টিয়েগো, ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক, রিও দে জেনেইরো, শিকাগো। এছাড়াও হনুলুলু, বুদাপেস্ট, এথেন্স,আঙ্কারা, কায়রোতে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার সংজ্ঞা আনুযায়ী, বিভিন্ন তরঙ্গ দিয়ে আলোর এগিয়ে চলে। বিভিন্ন আলোর বিভিন্ন ভৌত উপাদান। লাল আলোর রয়েছে দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ। বলা হচ্ছে, রেলিস স্ক্যাটারিং-এর কারণেই গ্রহণের চাঁদ এভাবে রক্তবর্ণ হয়। সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় বহু বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হয় আমাদের চোখে তা ধরা পড়ার আগে পর্যন্ত। চাঁদে পৌঁছানো একমাত্র সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল দিয়ে যায়, সেই কারণেই চন্দ্রগ্রহণের সময় দেখা যায় লাল চাঁদ বা ব্লাড মুন।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –