ফুলের রাজ্য গদখালী
প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০১৮
ঝক ঝক ঝক শব্দে ট্রেন এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। কখনো ঘন অন্ধকারের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, আবার কখনো আলোর ছটা এসে পড়ছে ট্রেনের গায়ে। আমার দৃষ্টি সীমানা পেরিয়ে ছুটে চলেছে দু’পাশের পৃথিবী। তখনই মনে পড়ে গেলো শামসুর রাহমানের কবিতার লাইনগুলো-
ঝক ঝক ঝক ট্রেন চলেছে
রাত দুপুরে অই।
ট্রেন চলেছে, ট্রেন চলেছে
ট্রেনের বাড়ি কই?
ছুটন্ত ট্রেন, আলো-আঁধারির খেলার মাঝে চোখটা কখন যেনো লেগে এসেছে। ট্রেনের ভেতর থেকে ভেসে আসা শব্দে হুড়মুড় করে জেগে উঠি। ট্রেন ততোক্ষণে যশোর জংশনের খুব কাছেই চলে এসেছে। সবাইকে নামার প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। অবশেষে স্টেশনে নামলাম। রাত তখন ৩ টা। এতো রাতে কোথাও যেতে দিচ্ছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। তাই অগত্যা অপেক্ষা করতে হয় ষ্টেশনে। বাকি রাতটুকু কাটলো গল্পের ঘোরে আর ফুলের রাজ্যে হারিয়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করেই! দেশের ফুলের রাজধানী যশোরের গদখালী যাওয়ার উদ্দেশ্যেই আমাদের এই অপেক্ষা। দেশের ৭০ ভাগ ফুলের চাহিদা মেটে এখান থেকেই।
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে বের হলাম স্টেশন থেকে। যশোরের চাষড়া চেক পোস্ট থেকে লোকাল বাসে করে গদখালির উদ্দেশ্যে যাত্রা। ৪৫ মিনিটের মতো সময় লাগে বাসে যেতে। গদখালি যাওয়ার পথে রাস্তার দু’ধারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বৃক্ষরাজি। আর যতদূর চোখ যায় সবুজে ঘেরা মাঠ। বাসের খোলা জানালায় বাতাস ভেদ করে চুলগুলো এলোমেলো করে দিচ্ছে। সেই সাথে অ্যালেন গিন্সবার্গে বিখ্যাত কবিতা ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড়’-এর আবৃত্তি শুনতে লাগলাম। মনে হলো ভ্রমণটা এখনই স্বার্থক হয়ে গেল! সেই সাথে চারপাশের মনোরম দৃশ্য দেখে ক্লান্তি যেন খানিকটা কেটে গেল। শীতের শুরুতে এরচেয়ে সুন্দর ভ্রমণ আর কি হতে পারে!
গদখালি বাজার থেকে নাস্তা করে ভ্যানে চড়ে চলে যাই ফুলের রাজ্যের দিকে। ভ্যান যতো সামনে এগোয়, চারপাশের জায়গাগুলো সবুজের পরিবর্তে লাল, নীল, হলুদ কিংবা সাদা হয়ে উঠে! চোখ আটকে যাচ্ছে দু’ধারে। যতদূর চোখ যায় শুধু ফুল গাছ। দেখলেই মনে হবে, হরেক রকমের রঙিন চাদর বিছিয়ে রেখেছে দিগন্তজুড়ে।
ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের পানিসারা, হাড়িয়া, কৃষ্ণচন্দ্রপুর, পটুয়াপাড়া, সৈয়দপাড়া, মাটিকুমড়া, বাইসা, কাউরা ও ফুলিয়া গ্রামের প্রতিটি মাঠের চিত্রই এমন। শত শত বিঘা জমি নিয়ে গাঁদা, গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারবেরা, কসমস, ডেইজি জিপসি, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকাসহ আরও বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চাষ। মনে হবে সুন্দর বাংলাদেশের বুকে এক টুকরো স্বর্গ। তবে রজনীগন্ধা, গ্লাডিওল্যাস, গোলাপ আর গাঁদা ফুলের চাষ সবচেয়ে বেশি হয় এখানে। ফুল কেটে গরুর গাড়ি করে বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে থেকে চালান হয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে।
ফুলের তীব্র সুগন্ধ, অসংখ্য মৌমাছি-প্রজাপতিদের উড়ে যাওয়া দৃশ্য মন কেড়ে নিবে। এখানকার ফুল চাষিদের মনটা ফুলের মতোই সুন্দর। যে কোনো বাগানে ঢুকে ইচ্ছে মতো ঘুরে বেড়ান, ছবি তুলুন, পছন্দমতো কয়েকটা ফুল তুলুন; কেউ কিছু বলবে না। বরং আপনার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিবে। তবে ফুলের বাগানে ঢোকার আগে অবশ্যই চাষিদের অনুমতি নিবেন।
গদখালী যাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় ডিসেম্বর শেষ সপ্তাহ ও জানুয়ারির প্রথম দু সপ্তাহ। তবে এখনো যেতে পারেন, তাহলে আংশিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করে ফিরতে হবে। এই আংশিক সৌন্দর্য্য-ও আপনার মনকে সুন্দর করতে বাধ্য।
গাড়ী, মিনিবাস, বাস নিয়ে খুব সহজেই যেতে পারবেন গদখালীর ফুলের রাজ্যে। অনেক খোলা জায়গা রয়েছে। উন্মুক্ত স্থানে পিকনিকও করা যাবে। ছুটির দিনগুলো ছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই অসংখ্য ভ্রমণপিপাসু আসে এখানে। ঢাকা থেকে একদিনে ঘুরে আসা সম্ভব। তবে যারা থাকতে চান তাদেরকে যশোর শহরের হোটেলগুলোকেই বেছে নিতে হবে।
– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –- ইসরায়েলের হামলাকে স্বীকার করছে না ইরান
- তীব্র তাপদাহেও যেভাবে ঘর থাকবে কনকনে ঠান্ডা
- বিএনপি পথহারা পথিক: ওবায়দুল কাদের
- আওয়ামী লীগ প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে কিছু করেনি: প্রধানমন্ত্রী
- মারা গেছেন জাতীয় পতাকার নকশাকার মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস
- আইপিএল থেকে চাইলেও যে কারণে যেতে পারেননি বাংলাদেশি এক ক্রিকেটার
- জুম্মাবার ও নামাজের গুরুত্ব
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
- বিজিপির আরো ১৩ সদস্য আশ্রয় নিলো বাংলাদেশে
- সড়কে দুর্ঘটনা রোধে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ
- তীব্র গরমের মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঝড়-শিলাবৃষ্টি
- ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু
- ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- বিচ্ছিন্নভাবে দেশের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই: সেনা প্রধান
- মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মানি বাড়বে
- ২৪ এপ্রিল ব্যাংকক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- দাবদাহে পুড়ছে দেশ, সুস্থ থাকতে যা করবেন
- ‘উপজেলা নির্বাচনে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে এলে ব্যবস্থা’
- বাংলাদেশে শিশুখাদ্য নিডো-সেরেলাক নিয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য
- ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন, পলকেই নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ
- উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বৈধ এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থী
- অপপ্রচার রোধে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নেয়া হবে
- নাশকতার মামলায় জেলা যুবদলের সভাপতি কারাগারে
- সাত বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
- প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বিরলে গ্রাম আদালত বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- যৌতুক ছাড়াই একসঙ্গে বিয়ে করলেন দুই বন্ধু
- ইরানের হামলা নিয়ে এবার ইসরায়েল-সৌদি পাল্টাপাল্টি মন্তব্য
- বৈশাখ আয়োজনে রঙ বাংলাদেশ
- ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭২.৫১ শতাংশ
- আন্তর্জাতিক চাপে মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকরা: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪২ ডিগ্রি, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
- টিভি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারে আইনগত ব্যবস্থা: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ‘বনভূমি দখলে স্থাপিত রিসোর্টগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালবে’
- নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
- চকবাজারে কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
- ‘আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার সামরিক সদস্যদের দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে’
- তুলার উৎপাদন বাড়াতে ১০ কোটি টাকার প্রণোদনা
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- এনএসআইর নতুন ডিজি হোসাইন আল মোরশেদ
- মাঠে গড়ালো চতুর্থ দিনের খেলা
- লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা
- পরীক্ষামূলক জিরা চাষে কৃষকের বাজিমাত
- ত্বকের দাগ দূর করবেন যেভাবে
- ‘যাকাত বোর্ড শক্তিশালী হলে দারিদ্র্য বিমোচন ত্বরান্বিত হবে’
- এবার ঈদে ৯০ লাখ মানুষ সড়কপথে ঢাকা ছাড়বে
- দুপুরের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা