• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী: চিরিরবন্দরে ‘ভ্রাম্যমাণ ফসল ক্লিনিক’

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০  

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুর্জিববর্ষ’ উদযাপন উপলক্ষে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে সবজি চাষে কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে নতুন একটি উদ্যোগ নিয়েছেন চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান। তিনি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তায় কৃষকের জন্য চালু করেছেন ‘ভ্রাম্যমাণ ফসল ক্লিনিক’ নামে কৃষিবান্ধব চিকিৎসাসেবা।

বর্তমানে মাঠের বুক জুড়ে সবুজের সমারোহ। চাষ হয়েছে নানা জাতের সবজি। কৃষকের খেতে শোভা পাচ্ছে আমন ধানসহ নানা জাতের মৌসুমি সবজি। কিন্তু সবজি চাষ করে স্বস্তিতে নেই কৃষক। প্রতিকূল আবহওয়ায় নানা রোগ বালাইয়ের আক্রমণ হচ্ছে সবজি খেতে। পাতা কুকড়ানো, গাছে পচন, শিকড় মরে যাওয়া, গাছের বিবর্ণ রং, ফুল ও ফল ঝরে পড়াসহ নানা ধরনের রোগ।

কীটনাশক প্রয়োগ করেও নিরাময় হচ্ছে না রোগ বালাই। তাই ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকের দিন কাটে চিন্তায়। আর কৃষকের এই চিন্তা দূর করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিরিরবন্দর উপজেলার প্রায় ২৩ হাজার ৩২০ জন কৃষক প্রায় ১১শ ৬০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের শাক-সবজি চাষ করে থাকেন। সবজি মৌসুমের শুরু থেকেই নানা রোগ বালাই ধরে থাকে সবজি খেতে। হাট বাজার থেকে নানা ধরনের কীটনাশক কিনে সবজি ও ধান খেতে প্রয়োগ করেও অনেক সময় ফল পায় না তারা।

এ কারণে উপজেলার আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে এই ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন কৃষি বিভাগ। ওই দিন প্রায় এক হাজার কৃষককে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা কৃষ্ণপুর গ্রামের রহমান আলী বলেন, আমি ২০ শতক জমিতে মরিচ চাষ করেছি। কিন্তু সেই গাছের শিকড়ে পচন ধরে গাছ মারা যাচ্ছে। বিনামূল্যে ক্লিনিকের কর্মকর্তারা ব্যবস্থাপত্রসহ পরামর্শ দিয়েছেন। একই গ্রামের মোতাহার হোসেন, দুলাল মিয়াসহ আরো অনেকে আসেন মরিচ, বেগুন, পটল, মূলা, করল্লা, লাউসহ নানা জাতের সবজির রোগবালাই দমনের পরামর্শের জন্য।

তারা বলেন, এর আগে এমন করে কোনো কর্মকর্তা ফসলের চিকিৎসা দিতে গ্রামে আসেননি। এ উদ্যোগ আমাদের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনবে। আগে গ্রাম থেকে কৃষি অফিসে গিয়ে পরামর্শ নিতে হয়েছে। এখন গ্রামে এসে কৃষককে ফসলের বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, উপজেলার ২৩ হাজার কৃষককে ঘরে ঘরে গিয়ে কৃষি বিষয়ক পরামর্শ দেয়া সম্ভব হয় না। তাই ইউনিয়ন পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকের মাধ্যমে ফসলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ক্লিনিকে এসে ফসলের চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ গ্রহণে কৃষকের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে বলে জানান তিনি।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –