• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

ববি’র শিক্ষার্থীকে মুখ বেঁধে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০২০  

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মুখ বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। পরে তাকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ছাত্রীকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়ার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।  এ ঘটনা তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন ওই ছাত্রীর স্বজনরা। এদিকে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আহত ছাত্রীর নাম জান্নাতুল নওরীন উর্মি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের (২০১৫-১৬ বর্ষের) ছাত্রী। 

উর্মি জানান, গত পহেলা মার্চ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সিঁড়িতে ঘিরে ধরে একদল মুখোশধারী। এ সময় সে চিৎকার দিলে ওই ভবনের একটি নির্জন স্থানে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করা হয়। পরে তার হাতে থাকা জ্যামিতি বক্সের কাটা কম্পাস দিয়ে উর্মির স্পর্শকাতর অঙ্গসহ তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জখম করে। ওইদিন কোনোমতে বাসায় ফিরে গেলেও নিরাপত্তার অভাবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়।

কিন্তু বাসায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার দুপুরে উর্মিকে ভর্তি করা হয় শের-ই বাংলা মেডিকেলের মহিলা সার্জারি-২ ইউনিটে।

উর্মির ভাই মেহেদী হাসান সোহেল জানান, এরআগেও উর্মিকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দেয়া হয়। নিরাপত্তাহীনতার কারণে তাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেয়া হলেও ক্ষতস্থানে ইনফেকশনের আশংকায় হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।

উর্মির বোন ফাতেমা-তুজ জোহরা মিতু বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পরও তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তিনিসহ স্বজনরা উর্মিকে নির্যাতনকারীদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।

হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসক ডা. সালেহ মাহদী বলেছেন, উর্মির ক্ষত আশংকাজনক নয়। তবে তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এদিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস জানান, বিষয়টি তার জানা ছিলো না। বুধবার বিকেলে গণিত বিভাগের দুইজন শিক্ষক এবং একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে তিনি ছাত্রী নির্যাতনের বিষয়টি অবহিত হয়েছেন। কারা কেনো এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার অনুসন্ধানসহ লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।

এরআগে উর্মিকে হত্যার হুমকির ঘটনায় ২০১৮ সালের ১৭ মার্চ নগরীর বিমান বন্দর থানায় জিডি করা হলেও কোনো বিচার না পাওয়ায় ওই জিডি প্রত্যাহার করতে হয়েছিলো। এ কারণে এবার থানা পুলিশে কোনো অভিযোগ করেননি তারা। তবে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা বলেন উর্মির বোন ফাতেমা-তুজ জোহরা মিতু।

এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে এবং এক শিক্ষার্থীকে আবাসিক হলের কক্ষে আটকে নির্যাতন করা হয়।

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –